ইদ্দত একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ গণনা করা। ইসলামের পরিভাষায়, কোনো স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে বা স্বামীর মৃত্যু হলে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত স্ত্রীকে এক বাড়িতে থাকতে হয়, অন্যত্র যেতে পারে না এবং অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারে না তাকে ইদ্দত বলে। ইদ্দত পালন করা নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়। তালাকপ্রাপ্তা নারীদের ইদ্দত তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীদের ইদ্দতের সময় তিন হায়েজ (ঋতুস্রাব)। তালাক দেওয়া তারিখের পর পূর্ণ তিন হায়েজ অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্ত্রীর পক্ষে অন্যত্র বিবাহ বসা হারাম। ইদ্দত শেষে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারবে। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীরা তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। আর তারা আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখলে তাদের গর্ভাশয়ে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা তাদের...
নারীরা কোথায় ইদ্দত পালন করবেন
শরিফ আহমাদ
চরিত্র গঠনে ইসলামের নির্দেশনা
মুফতি আতাউর রহমান
মানবজাতির প্রকৃতিতে আল্লাহ বিস্ময়কর বৈচিত্র রেখেছেন। এই বৈচিত্রের কারণেই পৃথিবীতে মানুষের আচার-আচরণ ও কাজে-কর্মে এত ভিন্নতা পাওয়া যায়। কোরআন ও হাদিসের বর্ণনায়ও মানবপ্রকৃতির বৈচিত্র ফুটে উঠেছে। নিম্নে মানবপ্রকৃতির বৈচিত্র নিয়ে ইসলামের ভাষ্য তুলে ধরা হলো। মানুষের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যে যে বৈচিত্র দেখা যায়, তা প্রধানত সৃষ্টিগত। আল্লাহ মানুষকে নির্ধারিত বৈশষ্ট্যি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশ থেকেও মানুষ কিছু বৈশষ্ট্যি অর্জন করে। শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভি (রহ.) বলেন, জেনে রেখো, মানুষের কিছু বৈশষ্ট্যি এমন যে, তা মানুষ হিসেবে সৃষ্টিগতভাবেই পেয়ে থাকে। তেমনি কিছু বৈশষ্ট্যি তার বৈষয়িক। যা তার পারিপার্শ্বিকতা ও দূরবর্তী কোনো প্রভাব থেকে অর্জিত হয়। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ : ১/১৬২) মানবজাতির স্বভাবচরিত্রকে দুই ভাবে ভাগ করা...
ওমরাহ পালনকারীদের যে পরিভাষাগুলো জানা উচিৎ
অনলাইন ডেস্ক
ওমরাহ পালনের সময় কিছু বিশেষ পরিভাষা বা শর্তাবলী রয়েছে, যা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মাধ্যমে ওমরাহ করার পদ্ধতি সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য হবে। নিচে সংক্ষেপে এর আলোচনা করা হলো- ইহরাম ইহরাম হলো হজ বা ওমরাহর নিয়তে তালবিয়া পাঠ করা। এজন্য নির্ধারিত বিশেষ নিয়ম ও পোশাক ধারণ করা এবং নির্দষ্টি কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা। ইহরামের মধ্য দিয়ে হজ ও ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ইহরাম শব্দের আভিধানিক অর্থ নিষদ্ধি করা। হজ ও ওমরাহ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি যখন হজ বা ওমরাহ কিংবা উভয়টি পালনের উদ্দেশ্যে নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার ওপর কতিপয় হালাল ও জায়েজ বস্তুও হারাম হয়ে যায়। এ কারণেই এ প্রক্রিয়াটিকে ইহরাম বলা হয়। তালবিয়া তালবিয়া হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া, যা হাজিরা হজ বা ওমরাহর সময় ইহরাম বঁাধার পর থেকে মক্কায় প্রবেশের আগ পর্যন্ত বারবার পাঠ করেন। এটি হজ এবং...
জুমার খুতবা শোনার গুরুত্ব ও ফজিলত
অনলাইন ডেস্ক
জুমার দিনকে মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়। হাদিসে জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে সকল আমলে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জুমার নামাজের আগে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় একটি আমল। এ সময় কথা বলা বা অমনোযোগী হওয়া নিন্দনীয় অপরাধ। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন খুতবার সময় কথা বলে, সে ভারবাহী গাধার মতো (বোঝা বহন করে, ফল ভোগ করতে পারে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যকে চুপ করতে বলে তারও জুমা নেই। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২০৩৩) উল্লিখিত হাদিসে খুতবার সময় কথা বলা ব্যক্তিকে গাধার সঙ্গে তুলনা দেওয়া হয়েছে। কারণ গাধাকে সবাই নির্বোধ প্রাণী জানে। তাই মুসল্লিদের উচিত হলো মনোযোগ সহকারে জুমার খুতবা শ্রবণ করা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাকো বলবে,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর