তাওহিদ বা মহান আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ইসলামের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মৌলিক ও সর্বপ্রধান বিষয়। ইসলামী শরিয়ার সব নীতিমালা, হুকুম-আহকাম ও জীবন নির্দেশিকা এ তাওহিদের ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাওহিদের মূল শিক্ষা নিম্নরূপ: পার্থিব-অপার্থিব যাবতীয় সুখ শান্তি এ তাওহিদি আকিদার ওপর নির্ভরশীল। এর বিপরীত ধারা পার্থিব লাঞ্ছনা অশান্তি ও অপার্থিব দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে থাকে। আল কোরআনের বাণী : যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল, অতঃপর তাকে পাখি ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে অথবা বাতাস তাকে নিক্ষেপ করবে অনেক দূরবর্তী কোনো স্থানে। (সুরা হজ, আয়াত : ৩১) পারস্পরিক সৌহার্দ্য, স্নেহ ও মমতাপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণে একত্ববাদের বিশ্বাস এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ, বিশ্বাসের একত্ব যখন মানবিকতার একত্ব সৃষ্টি করে...
তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদের মূল শিক্ষা
উম্মে আহমাদ ফারজানা
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বামী-স্ত্রীর শয্যাগ্রহণে ভারসাম্য রক্ষা
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমি একজন গৃহবধু (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। সম্প্রতি শয্যাগ্রহণ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার কিছুটা মতভিন্নতা হচ্ছে। তাই স্বামীর সঙ্গে শয্যাগ্রহণের ব্যাপারে আমি শরিয়তের নির্দেশনা জানতে চাই। প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর শয্যাগ্রহণের ব্যাপারে শরিয়তের নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই। অর্থাত্ শরিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মিলিত হওয়া এবং না হওয়ার ব্যাপারে কোনো সময় সীমা নির্ধারণ করে দেয়নি। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্দেশনা হলো স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের ইচ্ছা ও চাহিদাকে মূল্য দেবে, তা রক্ষা করার চেষ্টা করবে। স্ত্রীর উচিত যথাসম্ভব স্বামীর চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা এবং স্বামীর উচিত স্ত্রীর শরীর ও মনোভাবের প্রতি লক্ষ্য রাখা, তাঁর সুস্থ ও অসুস্থতা, প্রফূল্ল ও ক্লান্তি ইত্যাদি বিবেচনায় রাখা। যেন শয্যাগ্রহণের বিষয়টি স্ত্রীর জন্য বোঝা ও বিরক্তির কারণ না হয়। এককথায় বললে,...
কোরআনের আয়নায় নিজেকে দেখবেন যেভাবে
মুহাম্মদ আরশাদ আজমি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াতের প্রতি অনেকেই মনোযোগী। প্রতিটি মুসলমান চেষ্টা করে সামান্য পরিমাণ হলেও তিলাওয়াত করার। কেউ দিনে একবার তিলাওয়াত করে, কেউ সপ্তাহে একবার তিলাওয়াত করে আবার কেউ মাসে কয়েকবার তিলাওয়াত করে। কিন্তু তিলাওয়াতের সঙ্গে সঙ্গে কোরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে খুব কম লোকই। অথচ কোরআন নিয়ে গবেষণার তাগিদ দেওয়া হয়েছে কোরআনের একাধিক স্থানে। কোথাও বলা হয়েছে, তবে কি তারা কোরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে আসত তবে তারা তাতে অনেক অসংগতি পেত। (সুরা নিসা, আয়াত : ৮২) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, তবে কি তারা কোরআন সম্পর্কে অভিনেশসহ চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ২৪) কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণার নির্দেশ দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, যদিও শুধু কোরআন তিলাওয়াতই সাওয়াব লাভের মাধ্যম, তবুও আল্লাহ চান বান্দা...
নামাজের সামনে দিয়ে গেলে যে গুনাহ হয়
অনলাইন ডেস্ক

ঈমান আনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। এটি মুসলমানের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনো মুসলমান কিছুতেই নামাজ ছাড়তে পারেন না। সময়মতো নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুনাহের কাজ। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কীরূপ শাস্তি ভোগের আশঙ্কা রয়েছে তাতে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাও ভালো মনে করতো। বর্ণনাকারী আবুন নাযর বলেন, আমার জানা নেই, হাদিসে চল্লিশের কী অর্থ, চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর! (বোখারি ৫১০, মুসলিম ৫০৭) নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, দৃষ্টি সেজদার স্থানে থাকলে সাধারণত যে স্থান পর্যন্ত নামাজরত ব্যক্তির নজরে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর