নবী-রাসুলরা আল্লাহর পক্ষ থেকে কঠিন পরীক্ষারও সম্মুখীন হয়েছিলেন। দিয়েছেন ঈমান ও আমলের পরীক্ষা। তাঁরা সবাই সফল হয়েছেন; আল্লাহর সাহায্য লাভ করেছেন; পেয়েছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে সান্ত্বনার বাণী। কয়েকজন নবীর জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর সান্ত্বনার বাণী নিম্নে উল্লেখ করা হলো। ১. আদম (আ.) একটি জান্নাতে নিষদ্ধি ফল খাওয়ার পর অনুতপ্ত হয়ে শত শত বছর কান্না করেছেন, দোয়া করেছেন। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, অতঃপর তাঁর রব তাঁকে মনোনীত করলেন। পরে তাঁর তাওবা কবুল করলেন ও তাঁকে পথ দেখালেন। (সুরা ত্বা-হা, আয়াত : ১২২)। ২. নুহ (আ.) যখন নিজ সম্প্রদায় কর্তৃক বিপদাপন্ন ও নির্যাতিত হন, তখন তিনি আল্লাহকে ডাকেন, আল্লাহ তাআলা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবার পরিজন ও অনুসারীদের নৌকায় আরোহন করিয়ে সেই...
নবীদের প্রতি আল্লাহর সাহায্য ও সান্ত্বনা
মুফতি হুমায়ুন কবির মুহিউদ্দিন

সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা
মাইমুনা আক্তার

দুঃখের দিনে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং সুখের দিনেও অতিরিক্ত উল্লাসে আল্লাহ ভুলে না গিয়ে তাঁকে স্মরণ করা মুমিনের ভূষণ। কোনো অবস্থাতেই নৈরাশ কিংবা অহংকারী হয়ে ওঠা উচিত নয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তা এই জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ, তার জন্য যাতে দুঃখিত না হও এবং যা আল্লাহ তোমাদেরকে দান করেছেন তার জন্য উল্লসিত না হও। আল্লাহ এমন কোনো ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না, যে দর্প দেখায় ও বড়ত্ব প্রকাশ করে। (সুরা হাদিদ, আয়াত : ২৩) প্রত্যেক মুমিনের জন্যই এ বিশ্বাস জরুরি যে, দুনিয়ায় যা-কিছু ঘটে, লাওহে মাহফুজে লিখিত সেই তাকদির অনুযায়ীই তা ঘটে। এ বিশ্বাস যে পোষণ করে সে কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনায় এতটা দুঃখিত হয় না যে, সেই দুঃখ তার স্থায়ী অশান্তি ও পেরেশানির কারণ হয়ে যাবে। বরং সে এই ভেবে সান্ত্বনা লাভ করে যে, তাকদিরে যা লেখা ছিল তাই হয়েছে। আর এটা তো কেবল দুনিয়ারই...
ইসলামে ইতিবাচক মনোভাবের গুরুত্ব
আতাউর রহমান খসরু

ইসলাম মানুষ ইতিবাচক হওয়ার এবং ইতিবাচক মনোভাব পোষণের শিক্ষা দেয়। নেতিবাচক মনোভাব ইসলামে অনুমোদিত নয়। কেননা ইতিবাচক মনোভাব মানুষের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে। অন্যদিকে মনচিন্তা ও মনোভাব মানুষের কর্মস্পৃহা নষ্ট করে, মানুষকে জীবন-জগতে পিছিয়ে দেয়। ইতিবাচক মনোভাবের অর্থ কোনো কিছুর ক্ষেত্রে মন্দ ধারণা ও চিন্তার ওপর উত্তম ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়াকে ইতিবাচক মনোভাব বলা হয়। ড. সালিহ বিন আবদুল্লাহ বলেন, ইতিবাচক মনোভাব হলো মানব হূদয়ের প্রশস্ততা, চিন্তা সুন্দর করা এবং অতি উত্তম, উত্তম ও ভালো, যে কথাই শুনুক তার ভালো ব্যাখ্যা গ্রহণ করা। (নুদরাতুন নাঈম : ৩/১০৪৬) রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিম্নোক্ত হাদিস থেকেও ইতিবাচক মনোভাবের অর্থ স্পষ্ট হয়। তিনি বলেছেন, শুভ-অশুভ নির্ণয়ে কোনো লাভ নেই, বরং শুভ আলামত গ্রহণ করা ভালো। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করল, শুভ আলামত কী?...
কোরআনের বর্ণনায় ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বয়
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ঘটনাবলীর অন্যতম লোকমান হাকিম (রহ.)-এর ঘটনা বিশেষ তাত্পর্য বহন করে। কেননা এতে একজন পিতার ভাষ্যে পুত্রকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। পিতা কর্তৃক পুত্রকে উপদেশ দেওয়া একটি চিরায়ত বিষয়। সৃষ্টির সূচনা থেকেই পিতারা শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে পুত্রদেরকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করেন। কোরআনে বর্ণিত পিতা-পুত্রের এই কথোপকথনে ধর্মীয় ও পার্থিব শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। যা আদর্শ জীবন গঠনে অপরিহার্য। লোকমান (রহ.) ও তাঁর প্রজ্ঞা বিশুদ্ধ মতানুসারে লোকমান (রহ.) আল্লাহর নবী ছিলেন না, বরং একজন প্রজ্ঞাবান নেককার মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে পাণ্ডিত্য দান করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আমি লোকমানকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা। (সুরা লোকমান, আয়াত : ১২) মুজাহিদ (রহ.) বলেন, প্রজ্ঞা হলো সত্য চেনা ও সে অনুসারে আমল করা, কথা ও কাজে সঠিক হওয়া। আর আল্লামা ইবনুল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর