সাহাবায়ে কেরাম (রা.) রমজানকে অভ্যর্থনা জানাতে এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের জীবন ও কর্মে এই পবিত্র মাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রস্তুতির এক অনন্য চিত্র ফুটে উঠত। বহু বর্ণনায় পাওয়া যায় যে কিভাবে তাঁরা রমজানের আগমনের সংবাদ পেয়ে আনন্দিত হতেন, ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন হয়ে যেতেন এবং আত্মশুদ্ধির এক নতুন অধ্যায় শুরু করতেন। নিচে তাঁদের কিছু স্মরণীয় রমজান প্রস্তুতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো নবীজির (সা.) শুভ সংবাদ প্রিয় নবী (সা.) সাহাবাদের রমজানের আগমনের সুসংবাদ দিতেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার সাহাবাদের উদ্দেশ্যে বলেনতোমাদের কাছে রমজান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের ওপর আল্লাহ তাআলা অত্র মাসের রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া...
নবীজির সাহাবিরা রমজানকে যেভাবে স্বাগত জানাতেন
আসআদ শাহীন

যে কাজের আগে অজু করতে হয়
মাইমুনা আক্তার

ইসলামে পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম অজু। আরবি এই শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো, পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় বিশেষ নিয়মে বিশেষ কিছু অঙ্গকে ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করাকে অজু বলে। কিছু ইবাদত এমন আছে, যেগুলোর জন্য অজু করা বাধ্যতামূলক। আবার কিছু ইবাদত বা কাজ এমন আছে, যেগুলোর জন্য অজু করা ফরজ না হলেও মুস্তাহাব। নিম্নে সেই ইবাদতগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো- যেসব ইবাদতের জন্য অজু বাধ্যতামূলক নামাজ : নামাজ বেহেশতের চাবি আর অজু নামাজের চাবি। অজৃ ছাড়া নামাজ আদায়ের সুযোগ নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬) অর্থাৎ নামাজের জন্য অজু করা বাধ্যতামূলক। পবিত্র কাবা ঘরের তাওয়াফ : আয়েশা (রা.)...
দাসি থেকে বিখ্যাত হস্তলিপি শিল্পী
আলেমা হাবিবা আক্তার

আব্বাসীয় আমলের বিখ্যাত কবি, গীতিকার, সংগীতশিল্পী ও হস্তলিপি শিল্পী ছিলেন উরাইব মামুনিয়্যা। খলিফা মামুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তাঁকে মামুনিয়্যা বলা হয়। শৈশবে তিনি দুর্বিষহ জীবন যাপন করলেও শেষ জীবনে তিনি রাজপ্রাসাদের আভিজাত্য ভোগ করেন। তাঁর পূর্ণ নাম উরাইব বিনতে জাফর বিন ইয়াহইয়া বারমাকি। তিনি ৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। বারমাকিদের পতন ঘটলে ১০ বছর বয়সে উরাইবকে চুরি করে এনে বিক্রি করে দেওয়া হয়। একাধিকবার হাত বদলের পর তিনি বাগদাদে আব্বাসীয় রাজপ্রাসাদে আসেন। সেখানে খলিফা আমিন, মামুন ও মুতাসিম বিল্লাহর আনুকূল্য লাভ করেন। খলিফা মুতাসিম বিল্লাহ তাকে মুক্তি দান করেন। অবশ্যই উরাইব একাধিকবার তাঁর অন্যায় দাসত্বের প্রতিবাদ করেন। উরাইব বিনতে জাফর ছিলেন একজন স্বভাব কবি ও গীতিকার। তিনি সুমিষ্ট কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন এবং তাঁর হাতের লেখাও ছিল...
রমজানে রাসুল (সা.) যেসব ইবাদত বেশি করতে বলেছেন
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র রমজান মাস আল্লাহ তাআলার মহান দান। রমজান মাস মানুষকে মহান হতে শেখায়, ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার প্রিয়ভাজন হতে, জান্নাত প্রাপ্তির নিশ্চয়তা অর্জন করতে শেখায়। রাসুল (সা.) বলেন, পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে একজন মুমিনের জন্য আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা মাস। এ মাস জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩) নবী করিম (সা.) পবিত্র রমজানে নিজেকে পরিপূর্ণরূপে আল্লাহর দরবারে সমর্পণ করে দিতেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে মন উজাড় করে দিতেন। খাঁটি গোলাম হিসেবে ইবাদতের মাঝে নিজেকে মগ্ন রাখতেন। নবী করিম (সা.) রমজান মাসে যেসব ইবাদত বেশি করতেন, তার পূর্ণ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর