রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, এ মাসে একজন মুমিন তার হূদয়কে তাকওয়ার আলোয় আলোকিত করে। এটি শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মসংযম ও আল্লাহভীতি অর্জনের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণের সময়। তাকওয়া শব্দটি কুরআনে বহুবার এসেছে এবং এটি মূলত আল্লাহভীতির মাধ্যমে নিজেকে গুনাহ থেকে রক্ষা করার নাম। রমজান মাসে সঠিকভাবে রোজা পালন করলে মুমিনের হূদয়ে তাকওয়ার জন্ম হয়, যা তাকে পরবর্তী জীবনে গুনাহ থেকে দূরে রাখে এবং পরকালীন মুক্তির পথ দেখায়। তাকওয়ার সংজ্ঞা তাকওয়া শব্দটি আরবি ওয়াক্বায়া মূল ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ রক্ষা করা বা সুরক্ষা প্রদান করা। ইসলামি পরিভাষায় তাকওয়া হলো আল্লাহকে ভয় করে তাঁর বিধান মেনে চলা এবং হারাম কাজ থেকে দূরে থাকা। তাফসিরে বায়জাবিতে তাকওয়ার তিন স্তরের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এক. শিরক থেকে বেঁচে থেকে চিরস্থায়ী শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়া। এ...
রমজানে আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়ন
জাওয়াদ তা

তারাবিতে কোরআনের বার্তা
অনলাইন ডেস্ক

সুরা মায়িদা সুরা মায়িদার সূচনা হয়েছে চুক্তি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে। এই সুরায় কয়েকটি ঘটনা ও বিভিন্ন বিধি-বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষত এখানে চুক্তি বাস্তবায়ন, আহলে কিতাবের সঙ্গে বিয়ে, মৃত্যুর সময় অসিয়ত, জবাইকৃত বস্তু খাওয়ার বৈধতা, শিকারের বৈধতা, অজু-গোসল থেকে পবিত্রতা, তায়াম্মুম, মদ-জুয়ার অবৈধতা, মুরতাদের শাস্তি, চুরি-ডাকাতির শাস্তি, ইহুদি-খ্রিস্টান, মূর্তি পূজারী ও মুনাফিকদের দাবি খণ্ডন ইত্যাদি বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. মানত আল্লাহর প্রতি বান্দার অঙ্গীকার। নেক কাজের মানত করলে তা পূরণ করা আবশ্যক। (আয়াত : ১) ২. মৃত প্রাণির গোশত খাওয়া হারাম। (আয়াত : ১) ৩. বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রেরিত পশু ক্রয়-বিক্রয় এবং তা দান করা বৈধ নয়। তাতে মিরাসি অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয় না। (আয়াত : ২) ৪. কোনো পশু রেল বা মোটরযানের আঘাতে মারা গেলে তার গোশত...
রোজা না রাখার ভয়াবহতা
মাইমুনা আক্তার

রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পবিত্র রমজান মাসের রোজা ফরজ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, রমজান মাস- যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হেদায়েত এবং এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন এ সময় অবশ্যই রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য দিনে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ সেটাই চান, তোমাদের জন্য জটিলতা চান না, এবং (তিনি চান) যাতে তোমরা রোজার সংখ্যা পূরণ করে নাও এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে পথ দেখিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর তাকবির পাঠ কর এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য পূর্ণ রমজান...
রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তিদের করণীয়
অনলাইন ডেস্ক

রমজান মাসে যারা রোজা পালনে অক্ষম। অতিশয় পীড়িত, বয়োবৃদ্ধ, এমনকি দৈহিক দুর্বলতার কারণে রোজা রাখা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার বা প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাদের রোজার ব্যাপারে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ﴾وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ﴿ অর্থ : আর যাদের জন্য সিয়াম কষ্টসাধ্য তাদের কর্তব্য হলো ফিদয়া, এর বদলে একজন মিসকিনকে খাদ্য দেওয়া। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে তা তার জন্য কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য বেশি কল্যাণকর, যদি তোমরা তা জানতে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪) news24bd.tv/TR
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর