আমার আজকের নিবন্ধটি মূলত তাদের জন্য, যারা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে একদম দুচোখে দেখতে পারেন না। জিয়ার নাম শুনলে যাদের গা-জ্বালা করে অথবা যাদের শরীর-মনে প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা এবং ঈর্ষার দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে তারাও আজকের নিবন্ধ থেকে কিছুটা শান্তির পরশ পেলেও পেতে পারেন। যারা চান বাংলাদেশের মাটিতে জিয়াউর রহমান নামে যে কেউ ছিল সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে অথবা জিয়াকে মানুষের মনমননশীলতা এবং চিন্তা থেকে চিরতরে বিদায় করে দেওয়ার জন্য, যারা নিরন্তর উল্টাপাল্টা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তারা ইচ্ছা করলে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মপদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছালেও পৌঁছাতে পারেন। জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য আপনি মহামতি আলেকজান্ডারকে অনুসরণ করতে পারেন- যিনি তাঁর জাদুকরী প্রতিভা দ্বারা হাজার...
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক

জাতীয়তাবাদের পুনরাবিষ্কার: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মুক্তির পথে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)
অনলাইন ডেস্ক

জাতীয়তাবাদ একটি রাষ্ট্রের আত্মপরিচয়, গৌরব এবং ভবিষ্যৎ পথচলার দিকনির্দেশনা। তবে এই জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা ও কাঠামো সব দেশে এক নয়, এবং বাংলাদেশেও জাতীয়তাবাদের বিকাশ একমাত্রিক নয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ছিল একটি আবেগতাড়িত ও সাংস্কৃতিক পরিচিতিভিত্তিক ধারণা, যা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির রাষ্ট্রপ্রাপ্তির স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ১৯৭৫ পরবর্তী বাস্তবতায় দেখা যায়, এই জাতীয়তাবাদ ক্রমাগত একটি সীমাবদ্ধ ও পতিত ধারণায় পরিণত হয়, যা ভৌগোলিক, ধর্মীয় ও জাতিগত বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করে। অন্যদিকে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা প্রবর্তন করেন, যা রাষ্ট্রভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যতমুখী চিন্তাধারাকে ধারণ করে। তিনি বাঙালি জাতিসত্তার...
ড. ইউনূসের আরও স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা
গাজীউল হাসান খান

আজকাল কোনো রাজনৈতিক কথা বলা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে হয়। কোনো ব্যাপারে বক্তা কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পক্ষ নির্ধারণের প্রবৃত্তি দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বক্তা বা লেখক রাজনীতিগতভাবে কোন পক্ষের লোক, সেটি নির্ধারণের একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের পারস্পরিক সমঝোতা কিংবা বৃহত্তরভাবে বোঝাপড়ার অভাবেও হতে পারে। একই রাজনীতি কিংবা দর্শনে বিশ্বাস করলেও বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন জনের কিছুটা মতপার্থক্য দেখা দিতেই পারে। এটিই আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং অন্যদিকে গণতন্ত্রের একটি অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। নিজেদের মধ্যে বহুমত বিরাজ করলেও বৃহত্তর সমঝোতা কিংবা অবাধ মতবিনিময়ের কারণে অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করেও হয়তো বা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একটি কমন প্ল্যাটফর্মে সমবেত...
মিডিয়া সংস্কারে কার স্বার্থে একচোখা সুপারিশ
মাহফুজ জুয়েল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন বাংলাদেশ গড়ার কামনায় রাষ্ট্র সংস্কারের প্রসঙ্গটি জোরালোভাবে সামনে আসে। সংস্কারের বাসনায় একে একে গঠন করা হয় সাতটি কমিশন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে ১৮ নভেম্বর ১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে। ২২ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। কমিশনের সদস্যদের অনেকেই নিজ নিজ কর্মগুণে স্বনামখ্যাত সুশীল এবং নিঃসন্দেহে জ্ঞানীগুণী। তাঁরা তুলনামূলক দ্রুততম সময়ে তথ্যসমুদ্র মন্থন করে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর