৬৫৬ হিজরি মোতাবেক ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে আরতুগ্রুলের ছেলে উসমানের জন্ম হয়। তাঁর দিকেই উসমানি সাম্রাজ্যের সম্বোধন করা হয়। তিনি যে বছর জন্মগ্রহণ করেন, সে বছরই মঙ্গোলীয়রা হালাকু খাঁর নেতৃত্বে আব্বাসি খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে আক্রমণ করে। এটি ছিল মর্মান্তিক একটি দুর্যোগ। এ সম্পর্কে আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন- তারা শহরে আক্রমণ করে সেখানকার সকল পুরুষ, মহিলা, বাচ্চা, বৃদ্ধ, যুবক যাদেরই নাগালে পেয়েছে হত্যা করেছে। অনেক মানুষ কূপ, বন্য জন্তুদের আবাস এবং ময়লার ভাগাড়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। এভাবে তারা অনেকদিন আত্মগোপন করে থাকে। এক মুহূর্তের জন্যও বাইরে বের হতো না। একদল লোক সেখানকার সরাইখানাগুলোতে দরজা বন্ধ করে আত্মগোপন করে; কিন্তু তাতারিরা সেগুলো ভেঙে আগুন লাগিয়ে তাদের বের করে নিয়ে আসে। এরপর লোকেরা দূর দূরান্তে গিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত...
উসমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

নামাজের নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময়
আহমাদ রাইদ

এমন কিছু সময় আছে, যেসব সময় ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। সূর্যোদয়ের সময়, যতক্ষণ তা পুরোপুরি উদয় হয়ে না যায়। (বুখারি, হাদিস : ১৫২৩) সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময়। যতক্ষণ পর্যন্ত তা ঢলে না পড়ে। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৩) সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে ওই দিনের আসর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৫) নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে জানাজা এলে তা আদায় করতে পারবে। কিন্তু মাকরুহ হবে। সেরূপ কোনো ব্যক্তি এ সময় আয়াতে সিজদা পাঠ করলে সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করতে পারবে। কিন্তু মাকরুহ হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৬, সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ১২৩১, মুসলিম ১৩৭৩, সুরা : মুহাম্মদ : ৩৩) যে সময়ে নফল নামাজ মাকরুহ ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত থেকে অতিরিক্ত পড়া মাকরুহ। (মুসলিম,...
বিশ্বনবী (সা.)-এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য
মো. আব্দুল হামিদ

মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুক ও সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)। তিনি ছিলেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। যাঁকে মহান আল্লাহ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্য রহমতস্বরূপ তৈরি করেছেন। নিম্নে আল্লাহর এই প্রিয় বন্ধুর কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো আল্লাহর প্রিয় বন্ধু : নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবিব (বন্ধু), তাতে কোনো গর্ব নেই। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১৬) কিয়ামতের দিন প্রথম উত্থিত হবেন : নবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর জমিন ফাটবে এবং যারাই উঠবে, আমিই হব তাদের মধ্যে প্রথম। (বুখারি, হাদিস : ২৪১২) কিয়ামতের দিন প্রথম শাফাআতকারী : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে) উন্নীত করবেন। (সুরা বনি...
শিশুর মানসিক গঠনে করণীয়
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

সন্তানের প্রতিপালন মা-বাবার দায়িত্ব। তারাই সন্তানকে আগামী দিনের গড়ে তোলেন। শিশুর প্রতিপালনের দুটি দিক : এক. বাহ্যিক প্রতিপালন। যেমন শিশুর খাবার ও চিকিত্সার ব্যবস্থা করা, দুই. তার মনস্তত্ব গঠন। ইসলাম শিশুর বাহ্যিক ও মানসিক উভয় প্রকার গঠন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মা-বাবা যেমন শিশুর খাবার, পোশাক, স্বাস্থ্য-চিকিত্সার মতো বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবে, তেমনি তারা ঈমান, আখলাক ও চিন্তা-ভাবনাগুলোর প্রতিও লক্ষ্য রাখবে। সৃষ্টিগতভাবেই সন্তানের প্রতি মা-বাবা অত্যন্ত স্নেহশীল। আল্লাহ মা-বাবার ভেতর এমন মমত্ব ও ভালোবাসা তৈরি করে দেন যে, তারা শিশুর সর্বপ্রকার ভালো-মন্দের খেয়াল রাখে। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সব প্রয়োজন পূরণ করে। তবে মা-বাবাকে তখনই দায়িত্বশীল বলা যাবে, যখন তারা সন্তানের দৈহিক গঠনের মতো, মানসিক গঠনকেও গুরুত্ব দেবে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবে...