নারীদের মাথায় ওড়না রাখা বা সতর ঢাকা অজুর সাথে সম্পৃক্ত কোনো বিধান নয়। অজুর শুদ্ধ হওয়ার জন্য অজুর সময় মাথায় ওড়না রাখা জরুরি নয়। অজুর সময় মাথায় ওড়না রাখা উত্তম বা মুস্তাহাবও নয়। নারীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী মাথায় ওড়না রেখে বা না রেখে অজু করতে পারেন যখন তারা কোনো পরপুরুষের দৃষ্টির সামনে না থাকেন এবং তাদের পর্দা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। যদি কোনো নারী বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে পরপুরুষদের সামনে অজু করেন, তাহলে পর্দার বিধান অনুযায়ী নিজেকে যথাসম্ভব আবৃত রেখেই অজু করতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে অজুর সময় মাথায় ওড়না রাখার চেষ্টাও করতে হবে। পর্দা ইসলামের ফরজ বিধান। নারীর জন্য আত্মীয় বা মাহরাম কিছু পুরুষ ছাড়া অন্য অনাত্মীয় পুরুষদের সাথে পর্দা করা ফরজ। অর্থাৎ অনাত্মীয় পুরুষদের সামনে নিজেদের সংযত রাখা, শারীরিক সৌন্দর্য প্রকাশ না করা ফরজ। তাদের সাথে নির্জনবাস করা ও...
অজুর সময় মাথায় ওড়না রাখা কি জরুরি?

যে ২ ধরনের ব্যক্তির সঙ্গে কোরবানি দিলে কবুল হবে না
অনলাইন ডেস্ক

কোরবানির দিনগুলোতে সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আপনি আপনার রবের জন্য সালাত আদায় করুন এবং কোরবানি করুন। (সুরা কাউসার, আয়াত, ২) আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ:৩৪) কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। বর্ণিত হয়েছে, কোরবানির গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং কোরবানির মধ্য দিয়ে তোমাদের তাকওয়া-পরহেজগারী বা আল্লাহভীতিই তাঁর কাছে পৌঁছে। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেনযাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর। এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন।...
চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা কোরআন-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আমার নাম রাফসান রিয়াম। আমি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমার বিষয় হলো, নবীজি (সা.) হাতের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন মর্মে যে ঘটনা বর্ণনা করা হয় তা কি কোরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত? নাকি তা দুর্বল সূত্রে বর্ণিত কোনো ঘটনা? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করার ঘটনা নবীজি (সা.)-এর বড় বড় মুজিঝাগুলোর (অলৌকিক ঘটনা) একটি। এই ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। কেননা তার সাক্ষ্য পবিত্র কোরআন ও একাধিক বিশুদ্ধ হাদিসে রয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা কোনো নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত যাদু। (সুরা কামার, আয়াত : ১-৩) এ ঘটনা সম্পর্কে একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস আছে। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়া সম্পর্কিত হাদিসকে মুতাওয়াতির (সন্দেহাতী অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক...
যে কারণে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা গুরুত্বপূর্ণ
সাআদ তাশফিন

সত্কাজে আদেশ ও অসত্কাজে নিষেধ এই উম্মতের দায়িত্ব। এই দায়িত্বের মাধ্যমেই মহান আল্লাহ এই উম্মতকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করবে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০) সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে যেকোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে। যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়। (বুখারি) সময়মতো যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা না হয়, তাহলে এর ফল গোটা জাতিকে ভোগ করতে হয়। তাই সমাজে কোনো অন্যায়-অনাচার দেখা দিলে সবাই...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর