ভারতের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশ

আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়েছে।

ভারতের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

বয়লারের ভালভে ছিদ্র হওয়ায় ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা এলাকায় অবস্থিত আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে পাওয়া যেত।

এর আগে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল।

তার মধ্যে গত শুক্রবার কারিগরি ত্রুটির কারণে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, আগামী দু’একদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনটি থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে। বার্তায় আরও বলা হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ঠিক করতে কাজ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়।

এরপর ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছিলো। কিন্তু শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি অনুসন্ধান করে দেখছে কেন্দ্রটি।

এর আগে ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে।

দুটি ইউনিটের উৎপাদনসক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট। হঠাৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়। তবে শনিবার (২৯ জুন) সারাদেশে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি ছিলো।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।

মোকাম্মেল জানান, বয়লারটি ঠান্ডা হতে দুই-তিনদিন সময় লাগবে। তারপর ভালভের মেরামত কাজ শুরু হবে। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটকে জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরেকটি ইউনিটের মেরামত কাজ চলছে, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এটি চালু হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিপিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই মুহূর্তে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটই বন্ধ রয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের মেরামত কাজ চলছে বলে আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। তবে সব মিলিয়ে লোডশেডিংকে ১ হাজার মেগাওয়াটের নিচে রাখা হয়েছে।

news24bd.tv/ab