সাদিক এগ্রোর সঙ্গে ‘অনিয়মে জড়িত’ গো-প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা’ 

গো-প্রজনন কেন্দ্র

সাদিক এগ্রোর সঙ্গে ‘অনিয়মে জড়িত’ গো-প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা’ 

অনলাইন ডেস্ক

আলোচিত সাদিক এগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রিয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার। যে কারণে সাদিক এগ্রোর জব্দ করা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু তিন বছর পর আবারও ফিরে পায় তারা। দুদকের অভিযানে এসব অনিয়মের সঙ্গে গো-প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে সাভারে সাদিক এগ্রোর খামারেও মিলেছে একাধিক ব্রাহমা প্রজাতির গাভী ও বাছুরের সন্ধান।

দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযানে পাওয়া নথিপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবে।

সাদিক এগ্রোর জালিয়াতি বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে ২০২১ সালে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা ১৮টি ব্রাহমা জাতের গরু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকের পর।

জব্দ করা ওই গরুগুলো তখন সরকারের জিম্মায় নিয়ে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। তিন বছর লালন পালনের পর ২০২৪ সালে সেই গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

তখন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংগঠন সভাপতি সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন তা গ্রহণ করে। গরুগুলো জবাই করে মাংস হিসাবে কেজি দরে বিক্রির কথা থাকলেও খেয়াল-খুশি মতো গরু বিক্রি করেন।

দুদক বলছে, কৃষি অধিদপ্তর ও সাদেক এগ্রো সেখানে কারসাজি করেছে। এ অভিযোগে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে। তবে, দুদকের বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সাভার থেকে দুদকের তদন্ত দল ব্রাহমা গরুর খোঁজে যায় কেরানীগঞ্জের ভাকুর্তায় সাদিক এগ্রোর ফার্মে। যেখানে দুগ্ধ জাত গরুর পাশাপাশি নিজস্ব পদ্ধতিতে ব্রাহমা গরুর উৎপাদনের প্রমাণ মেলে।

যে ফার্মে গরুর পাশাপাশি উট, বিদেশি জাতের ঘোড়াসহ আলোচিত ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলটি রাখা হয়েছে।
news24bd.tv/আইএএম