মুসলমান পরস্পরের ভাই। সুতরাং তারা পারস্পরিক সংঘাত পরিহার করবে। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে এবং অসংখ্য হাদিসে মুমিনদের বিবাদ-সংঘাত পরিহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষত দ্বিনি বিষয়ে বিরোধ ও সংঘাত অত্যন্ত অপছন্দনীয় বিষয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যারা দ্বিন সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোনো দায়িত্ব তোমার নয়; তাদের বিষয় আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন। (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৫৯) বিরোধ-বিশৃঙ্খলা পরিহার করা আবশ্যক মুসলমানের জন্য বিরোধ-বিশৃঙ্খলাকে ভয় করা এবং তা থেকে আত্মরক্ষা করা আবশ্যক। কেননা তার কুফল সবাইকেই ভোগ করতে হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা এমন ফিতনাকে ভয় করো, যা বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে যারা জালিম কেবল তাদেরকেই ক্লিষ্ট করবে না এবং জেনে রাখো যে নিশ্চয়ই আল্লাহ...
ভ্রাতৃসংঘাত নিরসনে কোরআনের নির্দেশনা
অনলাইন ডেস্ক
মুহাম্মদ (সা.)-এর যে বার্তা বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছিল
অনলাইন ডেস্ক
একবার ১৪০০ বছর আগের পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দিন। এ ক্ষেত্রে উঁচু উঁচু ভবন, স্বর্ণ-রৌপ্যের স্তূপ ও চাকচিক্যপূর্ণ পোশাকের বিষয়াদি বাদ দিন। এগুলো তো পুরনো ছবির অ্যালবাম ও প্রাণহীন জাদুঘরেও দেখা যায়, বরং এটা দেখুন যে তখন মনুষ্যত্ব জাগ্রত ছিল কি না? পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত, উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত লক্ষ করে দেখুন, কোথাও মনুষ্যত্বের স্পন্দন পাওয়া যায় কি না এবং তাতে প্রাণের সাড়া ছিল কি না? জীবনের সমুদ্রে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলত। মনুষ্যত্বের বনে বাঘ, চিতা, বকরি ও হরিণকে নির্বিচারে খেয়ে ফেলত, মন্দ লোকেরা ভালো মানুষের ওপর এবং নিম্ন প্রকৃতির লোকেরা সম্মানিত মানুষের ওপর, প্রবৃত্তি বিবেক-বুদ্ধির ওপর, পেটের তাড়না আত্মার দাবির ওপর প্রাধান্য লাভ করেছিল। কিন্তু এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীতে কোনো প্রতিবাদ ছিল না, কোনো ক্ষোভ ছিল না। পুরো পৃথিবী যেন এক...
ঝগড়া-বিবাদ যেভাবে ধ্বংস বয়ে আনে
প্রত্যেক মুমিনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ঈমান। ঈমানের পর তাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো একতা। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দল-উপদলে বিভক্ত না হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহর রজ্জুকে (অর্থাৎ তাঁর দ্বিন ও কিতাবকে) দৃঢ়ভাবে ধরে রাখ এবং পরস্পরে বিভেদ কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন তা স্মরণ রাখ। একটা সময় ছিল, যখন তোমরা একে অন্যের শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহকে জুড়ে দিলেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেলে। তোমরা অগ্নিকুণ্ডের প্রান্তে ছিল। আল্লাহ তোমাদের (ইসলামের মাধ্যমে) সেখান থেকে মুক্তি দিলেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নিদর্শনসমূহ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা সঠিক পথে চলে আস। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৩) মুমিনরা যত দিন মহান আল্লাহর এই আদেশ পালন করবে, তত দিন...
হুর দেখতে কেমন, কী দিয়ে সৃষ্টি
অনলাইন ডেস্ক
জান্নাত এবং হুর পরকালীন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জান্নাত হলো আল্লাহর আনুগত্য ও সৎ কাজের পুরস্কার, যেখানে বিশ্বাসীরা চিরকাল শান্তি, সুখ এবং অমিত আনন্দ উপভোগ করবেন। এখানে থাকবে অপূর্ব সুন্দর বাগান, নদী, এবং স্বর্গীয় খাবার। হুর হলো জান্নাতের এক বিশেষ পুরস্কার, তারা হলো অপূর্ব সুন্দর নারী, যারা জান্নাতের বাসিন্দাদের জন্য তৈরি। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জান্নাতের বাসিন্দারা হুরদের সাথে চিরকাল সুখে থাকতে পারবেন। এই বিষয়গুলো মুসলিমদের জন্য পরকালে পরিপূর্ণ সুখ ও শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। রাসুল (স.) বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং যার সম্পর্কে কোনো মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পারো, কেউ জানে না, তাদের জন্য তাদের চোখ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর