মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ গোত্রের বনু আসাদ শাখার সন্তান হাকিম ইবনে হিজাম (রা.)। পিতার নাম হিজাম ও মায়ের নাম সাফিয়্যা/ ফাখতাহ বিনতে যুহাইর হারিছ ইবনে আসাদ। একই সাথে তিনি উম্মুল মুমিনীন খাদিজা (রা.)-এর ভাতিজা। যুবাইর ইবনে আউওয়াম (রা.) এর চাচাতো ভাই। জায়েদ ইবনে হারিছার খরিদকারী। জন্মগ্রহণ ও তার বিরল ইতিহাস হাকিম (রা.) ভূমিষ্ট হন পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে। একদা তাঁর মা অন্যান্য কুরাইশি নারীদের সঙ্গে কাবা শরীফের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সেখানেই তাঁর প্রসব বেদনা শুরু হয়। বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই সেখানেই একটি চামড়া বিছিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই তিনি হাকিমকে প্রসব করেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ভূমিষ্ট হন। এটা হস্তীবাহিনীর ১৩ বছর পূর্বের ঘটনা। তিনি নিজেই বলেন, আমি আমুল ফিলের ১৩ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করি। আমার ফুফু খাদিজা (রা.)...
হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) পবিত্র কাবার অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণকারী সাহাবি
মাওলানা মুহিউদ্দীন হাতিয়ুভী
ওয়াজের ভাষা যেমন হওয়া উত্তম
আল্লামা আশরাফ আলী থানবি (রহ.)
ওয়াজ ও নসিহতের মানুষকে দ্বিন শেখানো এবং আল্লাহমুখী করার একটি মাধ্যম। যুগ যুগ ধরে আলেমরা সাধারণ মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করতে ওয়াজ করে থাকেন। তবে ওয়াজের ভাষা সবার সমান নয়। কেউ খুব জোশালো ভাষায় ওয়াজ করেন, কেউ খুব নম্র ভাষায় ওয়াজ করেন। আমার মনে হয় ওয়াজের ভাষা বিনম্র হওয়াই উত্তম। কেননা যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর মারেফাত লাভের স্তরে পৌঁছে যায় তার কাছে যুক্তিনির্ভর বিষয়গুলো সুস্পষ্ট দৃশ্যমান বিষয়ের পর্যায়ে চলে আসে। আর যে বস্তু বা বিষয় প্রকাশ্যে দৃশ্যমান তা বর্ণনা করার ক্ষেত্রে কোনো মানুষ বিশেষ গুরুত্বের আশ্রয় গ্রহণ করে না। যেমন ঠিক দুপুরের সময় সূর্যের অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য কোনো জোশালো বা জ্বালাময়ী বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এ কারণে বুজুর্গ আলেমরা কোনো জ্বালাময়ী বা জোশাল বক্তৃতা প্রদানে সাধারণত অভ্যস্ত থাকেন না। এ সম্পর্কে সুফি আলেমরা...
জিজ্ঞাসা: লভ্যাংশ নির্ধারণ না করে ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করা
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
আমার নাম আবদুর রহমান সজল। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানায়। আমি পেশায় একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। আমি আলু, পেয়াজ, তরকারি ও ধানের মৌসুমে এগুলো ব্যবসা করি। ব্যবসার মৌসুমে আমার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই আমাকে নগদ অর্থ দিয়ে বলেন, এটা তোমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করো এবং আমাকে কিছু লভ্যাংশ দিয়ো। আমিও আমার লাভ অনুপাতে তাদেরকে অনির্দিষ্টভাবে কিছু লভ্যাংশ দেই। যেমন কোনো মাসে বেশি লাভ হলে আমি এক লাখে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেই। আবার লাভ কম হলে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকা দেই। এটা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমার জিজ্ঞাসা হলো, এভাবে অর্থ গ্রহণ ও লভ্যাংশ প্রদান করা কি জায়েজ? ইসলামী শরিয়তের বিধান হলো, এক পক্ষের পুঁজি আর অন্যের শ্রমযাকে মুদারাবা বলা হয় তার মূলনীতি হলো পুঁজিদাতা এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারিত হতে হবে। যেমন লাভের ৬০ শতাংশ পাবে বিনিয়োগকারী আর ৪০...
আল্লাহভীতির যে সুফল পৃথিবীতেই মেলে
রায়হান আল ইমরান
মুমিনের হূদয়ে অমূল্য সম্পদ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাকওয়াপূর্ণ জীবন মুমিনের সাফল্যের সোপান। তাকওয়ার অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। তাই সুফল শুধু পরকালীন জীবনে পাওয়া যায় না, বরং পার্থিব জীবনেও এর বহুবিধ কল্যাণ নিহিত আছে। নিম্নে এমন কয়েকটি সুফল তুলে ধরা হলো। ১. মুমিনের কাজ সহজ করে: তাকওয়ায় মুমিনের কাজকে সহজ করে। ফলে তার পুণ্যের কাজে জটিলতা দেখা দেয় না। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি সব ইবাদত যথাযথ আদায় করা সহজ হয়ে যায়। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করবে আল্লাহ তাআলা তার কাজকে সহজ করে দেবেন। (সুরা তালাক, আয়াত : ৪) ২. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে: তাকওয়া মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিদেরকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর