সঠিক পদ্ধতিতে বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হলে ক্রেতা পণ্যের মালিক হয় এবং বিক্রেতা মূল্যের মালিক হয়। এ ক্ষেত্রে পণ্য ও অর্থ পরস্পরকে হস্তান্তর করা শর্ত নয়। যদিও জরিমানা নির্ধারণে হস্তান্তরের বিশেষ প্রভাব আছে। তবে লেনদেন ফাসিদ (বাতিল) পদ্ধতিতে হলে পণ্যের মালিক হওয়ার জন্য তা ক্রেতার হস্তগত হওয়া শর্ত। পণ্য ও মূল্যের মালিকানা বদলে নিম্নোক্ত বিধানাবলী কার্যকর হবে: ১. পণ্যের যা বৃদ্ধি পাবে জন্ম বা উত্পাদন ইত্যাদির মাধ্যমে, তার মালিক হবে ক্রেতাযদিও সে পণ্য হস্তগত না করে। মূল্য বাকি থাকলেও পণ্যের মালিকানা ক্রেতার প্রতি স্থানান্তরিত হতেও শরিয়তে কোনো বাধা নেই। ২. পণ্যে ক্রেতার কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয় আর মূল্যে বিক্রেতার নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন বিক্রেতা মূল্য গ্রহণের দায়িত্ব কাউকে দিতে পারে। তবে হস্তগত হওয়ার আগে ক্রেতা তাতে...
ক্রয়-বিক্রয়ে মালিকানা লাভের সুফল
মুফতি আহমদ আবদুল্লাহ
আজান দেওয়ার ফজিলত
আবরার নাঈম
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। আজানের সূচনা নিয়েও আছে এক চমকপ্রদ ঘটনা। আজান দেওয়া স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। তাই বিনা অজুতে আজান দেওয়া অপছন্দনীয় কাজ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, বিনা অজুতে কেউ যেন নামাজের আজান না দেয়। (সুমানে তিরমিজি, হাদিস : ২০১) আজান দেওয়ার ফজিলত অনেকে। আজান দেওয়াকে অনেকে খাটোচোখে দেখে; তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে; অপমান ও লাঞ্ছনাকর পেশা মনে করে। অথচ আজান দেওয়ায় আছে বহু সওয়াব। আছে জাহান্নাম থেকে মুক্তিনামা। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি নেকির আশায় একাধারে সাত বছর আজান দেবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হতে নাজাত নির্ধারিত আছে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০৬) অনেক সময় এমন হয় যে আজান দেওয়ার জন্য মানুষ পাওয়া যায় না। আজান দেওয়াকে গুরুত্বহীন ও নিম্নশ্রেণীর পেশা মনে করা হয়। অথচ আজানের গুরুত্ব...
যেমন ছিল মমতাজ মহলের জীবন
আলেমা হাবিবা আক্তার
আগ্রার তাজমহলকে মানুষ প্রেম ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেই জানে। সম্রাট শাহজাহান প্রিয়মতা স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মরণে ঐতিহাসিক এই স্থাপনা নির্মাণ করেন। তাজমহল শুধু ভালোবাসার প্রতীক নয়, বরং তা স্থাপনা শিল্পের বিস্ময়ও বটে। অপূর্ব নকশা, কারুকাজ ও ব্যবহূত মূল্যবান পাথর; এর সবকিছুই মোহিত করে দর্শককে। প্রশ্ন হলো, যার জন্য নির্মিত হয়েছিল এমন অনিন্দ্য সুন্দর স্থাপত্য সেই মমতাজ মহলের জীবন কেমন ছিল? আজ সেটাই জানার চেষ্টা করব। মমতাজ মহল অর্থ প্রাসাদের নির্বাচিত নারী। সম্রাট শাহজাহান ভালোবেসে তাঁকে এই উপাধি দিয়েছিলেন। কেননা সম্রাটের চোখে তিনিই ছিলেন প্রাসাদের নারীদের ভেতর দৈহিক ও চারিত্রিক সৌন্দর্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। তাঁর প্রকৃত নাম আর্জুমান্দ বানু বেগম। তিনি আগ্রার একটি অভিজাত পার্সিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবুল হাসান আসাফ খান। তিনি...
ইসলামের দৃষ্টিতে ‘গ্যাসলাইটিং’-এর ভয়াবহ পরিণতি
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
মানুষের মনোবল ভেঙে দিয়ে তাকে মানসিক শোষণের অন্যতম একটি কায়দা হলো গ্যাসলাইটিং। এর ধর্মীয় বিধান জানার আগে আমাদের জানতে হবে, গ্যাসলাইটিং মূলত কী, কেন করা হয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরে এটি কিভাবে প্রভাব ফেলছে। গ্যাসলাইটিং কী : গ্যাসলাইটিং পরিভাষাটির সাথে আমরা খুব বেশি পরিচিত না হলেও আমাদের সমাজে এই কাজটির প্রচলন খুব বেশি। কোনো দৃশ্যমান অস্ত্র ব্যবহার না করে মানুষকে তীলে তীলে শেষ করে দেওয়ার হাতিয়ার এটি। পরিভাষায় পৈচাশিক এই মানসিক অত্যাচারে কারিগরকে কিংবা মানসিক শোষককে বলা হয় গ্যাসলাইটার। আর শোষিত ব্যক্তিকে বলা হয় ভিকটিম। গ্যাসলাইটাররা খুব সুক্ষ্ম ভাবে তাদের টার্গেটের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাকে যত্র তত্র লোক সম্মুখে হেয় করে অসহায় ও দুর্বল করে তোলে। ভিক্টিমের মনের মধ্যে তার নিজেকে নিয়ে সংশয়, আত্মবিশ্বাসের অভাবএ ধরনের বিষয়গুলো পোক্ত করে দেয়।...