সুখে-দুখে, শান্তিতে-অশান্তিতে সর্বাবস্থায় দোয়া ও ওজিফা মুমিনের সর্বোত্তম সম্বল। মুমিন যখন সুখে-শান্তিতে থাকে, তখনও আল্লাহকে ভোলে না, যখন দুঃখ-কষ্টে থাকে, তখনও আল্লাহ থেকে নিরাশ হয় না। কারণ সুখ-শান্তি যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, তদ্রুপ দুঃখ-কষ্ট, বালা-মুসিবত আল্লাহর রহমতেই দূর হয়। যাপিত জীবনে অনেক সময় মানুষ নানা বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই তা থেকে মুক্তি সম্পর্কিত কোরআনে বর্ণিত চারটি পরীক্ষিত ওজিফার কথা তুলে ধরা হলো, এক. মুসিবত : মানুষ যখন নানা ধরনের বালা-মুসিবত ও চিন্তা পেরেশনের মধ্যে পতিত হবে, তখন নিম্নোক্ত দোয়া পড়া। উচ্চারণ : লা-ইলাহা, ইল্লা-আনতা, সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন। অর্থ: (হে আল্লাহ!) তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তুমি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী। কারণ পবিত্র কোরআনে এর পরের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, যার অর্থ...
কোরআনে বর্ণিত চার অজিফা
মুফতি আইয়ুব নাদীম
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিরাপদ জীবনে নেক আমলের প্রভাব
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই দুনিয়া আখিরাতের সফলতা ও নিরাপত্তা পেতে আমাদের উচিত, একনিষ্ঠভাবে একমাত্র মহান আল্লাহর ইবাদত করা। সাধ্যমতো নেক আমল করা। কারণ মহান আল্লাহ নেক আমলকারীদের দুনিয়া-আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, পুরুষ আর নারীদের মধ্যে যে কেউ সত্কাজ করবে আর সে মুমিনও, তাকে আমি অবশ্য অবশ্যই উত্তম জীবন দান করব আর তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই তারা যা করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিফল দান করব। (সুরা নাহাল, আয়াত : ৯৭) নেক আমল এতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে অনেক সময় নেক আমলের কারণে বহু বড় বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য করা কোনো একটি ছোট একটি নেক আমলের অসিলায় অনেক সময় কঠিন থেকে কঠিন বিপদ পানি হয়ে যায়। যার সুন্দর উদাহরণ কোরআন-হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। যেমন পবিত্র কোরআনে...
আজানের জবাব দেওয়ার পুরস্কার
শরিফ আহমাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজান ইসলামের মৌলিক আহ্বান। আজান শুনে মানুষ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আজানের সময় এটা শোনা এবং তার জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। প্রত্যেক আজানের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও তখন মুয়াজজিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৮৪) মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতাদের ওই বাক্যটির মাধ্যমে আজানের জবাব দিতে হয়। তবে সামান্য একটু পার্থক্য আছে। হাইয়া লাস সলাত ও হাইয়া লাল ফালাহ বলার সময় ভিন্ন বাক্যে জবাব দিতে হয়। ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসির (রহ.)বলেছেন,আমার কোন ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে মুয়াজ্জিন যখন হাইয়া লাস সলাত বলল, তখন মুআবিয়া (রা.) বলেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী (সা.)-কে আমরা এরূপ বলতে শুনেছি। (বুখারি,...
ইসলামী অর্থব্যবস্থা যেভাবে বৈষম্য দূর করে
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী অর্থনীতি একটি সমাজ বিজ্ঞান, যা ইসলামের আলোকে মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী আলোচনা করে। সহজ কথায়আল্লাহর দেওয়া বিধি-নিষেধ রক্ষা করে উত্পাদন, আয়, উপার্জন, ব্যয়, বণ্টন ও ভোগ-ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী পরিচালনার জ্ঞান ও বাস্তব কার্যক্রম গ্রহণ করে যে অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয় তা-ই ইসলামী অর্থব্যবস্থা। ইসলামী অর্থব্যবস্থার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হলো এটি বৈষম্যহীন অর্থব্যবস্থা। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো মালিকানার দৃষ্টিভঙ্গি : ইসলামে সম্পদ ও সম্পত্তির মূল মালিক মহান আল্লাহ। মানুষ কেবল উত্পাদন প্রক্রিয়ায় তার শ্রম নিয়োজিত করতে পারে। আল্লাহই মানুষের এ শ্রমকে সফল করেন বা ব্যর্থ করেন। যেমন মানুষ শুধু কোনো বীজ মাটিতে পুঁতে রাখতে পারে। আর সেই বীজ থেকে অঙ্কুর এবং এরপর গাছ বা ফসল বের করার কাজ মহান আল্লাহই করেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর