দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা না থাকলে জীবনের শৃঙ্খলা বাধাগ্রস্ত হয়। মানুষের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে অশান্তি সৃষ্টি হয়। পরস্পর শত্রুতা সৃষ্টি হয়। সমাজে জুলুম প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মানব জাতিকে ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সাথে সাক্ষদানকারী হিসেবে সদা দন্ডায়মান হও। কোনো কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনো ভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৮) অনেকে আছে তাদের জুলুমগুলোকেই ইনসাফ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার...
মুমিনজীবনে ইনসাফের গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফজল ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুল (সা.)-এর অন্তিম সময়ের সৌভাগ্যবান খাদেম
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
নবীজি (সা.)-এর আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজন ফজল ইবনে আব্বাস (রা.)। তাঁর বাবার নাম আব্বাস। মায়ের নাম লুবাবা বিনতে হারিছ। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর (পাঁচ বছর) বড়। তিনি তাঁর বাবার বড় ছেলে। তাঁর নামেই তাঁর বাবার উপনাম আবুল ফজল, আর তাঁর মায়ের উপনাম উম্মুল ফজল হয়। রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই; আবার বৈবাহিক সূত্রে ভায়রা-ছেলে। কারণ, তাঁর মা উমমুল মুমিনীন মাইমুনা (রা.)-এর আপন বোন। ইসলামগ্রহণ ও হিজরত : তিনি বদর যুদ্ধের পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কাবিজয়ের কিছু দিন পূর্বে মা-বাবা ও ভাই আব্দুল্লাহ (রা.)সহ মদিনায় হিজরত করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৩ এবং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের ৮ বছর। (আসহাবে রাসুলের জীবনকথা : ২/১৭৯পৃ.) রাসুল (সা.)-এর সাহচর্যে : মদিনায় হিজরতের পর সর্বপ্রথম মক্কাবিজয়-অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এরপর হুনাইন যুদ্ধেও যোগদান করেন। সে যুদ্ধে মুসলমানরা যখন সাময়িক...
হাদিসের আলোকে মুসলিম শিশুর অধিকার
শরিফ আহমাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর গভীর ভালোবাসা ছিল। তিনি তাদের খুব আদর-স্নেহ করতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। কোমল আচরণে তাদের হূদয় জয় করতেন। মায়া-মমতার ক্ষেত্রে তিনি পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। এ সংক্রান্ত পাঁচটি হাদিস উল্লেখ করা হলো ১. শিশুদের আদর স্নেহ করা রাসুলুল্লাহ (সা.) আদর করে শিশুদের চুম্বন করতেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় গুণ। কোমল হূদয়ের পরিচায়ক। আয়েশা (রা.) বলেন, এক বেদুঈন রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললো, আপনারা শিশুদের চুম্বন করে থাকেন, কিন্তু আমরা ওদের চুম্বন করি না। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে রহমত উঠিয়ে নেন, তবে আমি কি তোমার ওপর (তা ফিরিয়ে দেওয়ার) অধিকার রাখি? (বুখারি, হাদিস : ৫৫৭২) ২. শিশুদের খোঁজখবর নেওয়া রাসুল (সা.) শিশুদের খোঁজখবর রাখতেন। তাদের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতেন। এটি শিশুর মনোবিকাশে সহায়ক। আনাস ইবনে মালিক (রা.)...
বিবাহ চরিত্র রক্ষার রক্ষাকবচ
মো. যোবায়েরুল ইসলাম
বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেয়। এটি মানবজীবনের এমন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, করুণা এবং দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিয়ের গুরুত্ব কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন : তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের মাধ্যমে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও করুণা সৃষ্টি করেছেন। (সুরা রুম, আয়াত : ২১) বিবাহকে রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্বিনের অর্ধেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন : যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে তার দ্বিনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। (মুসতাদরাক হাকিম : ২৬৮০) বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর