দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা না থাকলে জীবনের শৃঙ্খলা বাধাগ্রস্ত হয়। মানুষের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে অশান্তি সৃষ্টি হয়। পরস্পর শত্রুতা সৃষ্টি হয়। সমাজে জুলুম প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মানব জাতিকে ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সাথে সাক্ষদানকারী হিসেবে সদা দন্ডায়মান হও। কোনো কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনো ভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৮) অনেকে আছে তাদের জুলুমগুলোকেই ইনসাফ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার...
মুমিনজীবনে ইনসাফের গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
হাদিসের আলোকে মুসলিম শিশুর অধিকার
শরিফ আহমাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর গভীর ভালোবাসা ছিল। তিনি তাদের খুব আদর-স্নেহ করতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। কোমল আচরণে তাদের হূদয় জয় করতেন। মায়া-মমতার ক্ষেত্রে তিনি পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। এ সংক্রান্ত পাঁচটি হাদিস উল্লেখ করা হলো ১. শিশুদের আদর স্নেহ করা রাসুলুল্লাহ (সা.) আদর করে শিশুদের চুম্বন করতেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় গুণ। কোমল হূদয়ের পরিচায়ক। আয়েশা (রা.) বলেন, এক বেদুঈন রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললো, আপনারা শিশুদের চুম্বন করে থাকেন, কিন্তু আমরা ওদের চুম্বন করি না। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে রহমত উঠিয়ে নেন, তবে আমি কি তোমার ওপর (তা ফিরিয়ে দেওয়ার) অধিকার রাখি? (বুখারি, হাদিস : ৫৫৭২) ২. শিশুদের খোঁজখবর নেওয়া রাসুল (সা.) শিশুদের খোঁজখবর রাখতেন। তাদের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতেন। এটি শিশুর মনোবিকাশে সহায়ক। আনাস ইবনে মালিক (রা.)...
প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
কাসেম শরীফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিবন্ধী বলতে আমরা বুঝি, অঙ্গহানির কারণে যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বা যাদের দেহের কোনো অংশ কিংবা তন্ত্র আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে, ক্ষণস্থায়ী কিংবা চিরস্থায়ীভাবে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। প্রতিবন্ধীরাও মহান আল্লাহর সৃষ্টি। মহান আল্লাহ বিশেষ হেকমতে তাদের সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টিকুলের কিছু অংশকে আমরা অনেক সময় অস্বাভাবিক ও অসুস্থ দেখতে পাই। এর রহস্য ও কল্যাণ আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। একটি কারণ হলোবান্দা যেন আল্লাহর একচ্ছত্র ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং বুঝতে পারে যে তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাবান। তিনি যেমন স্বাভাবিক সুন্দর সৃষ্টি করতে সক্ষম, তেমন তিনি এর ব্যতিক্রমও করতে সক্ষম। প্রতিবন্ধীকে আল্লাহ তাআলা এই বিপদের বিনিময়ে তাঁর সন্তুষ্টি, দয়া, ক্ষমা ও জান্নাত দিতে চান। হাদিসে কুদসিতে এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, আমি (আল্লাহ)...
বিবাহ চরিত্র রক্ষার রক্ষাকবচ
মো. যোবায়েরুল ইসলাম
বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেয়। এটি মানবজীবনের এমন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, করুণা এবং দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিয়ের গুরুত্ব কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন : তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের মাধ্যমে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও করুণা সৃষ্টি করেছেন। (সুরা রুম, আয়াত : ২১) বিবাহকে রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্বিনের অর্ধেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন : যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে তার দ্বিনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। (মুসতাদরাক হাকিম : ২৬৮০) বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর