দ্বিন শব্দ আরবি ভাষায় বিচার, প্রতিফলন বা প্রতিদান অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন আরবি প্রবাদ রয়েছে যেমন কর্ম তেমন ফল। (ইবন মানজুর আল-আফরিকি, লিসানুল আরাব, ১৩শ খণ্ড (বৈরুত: দারুল ফিকর, পৃ. ১৬৯) আল-কোরআনে দ্বিন শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো বিশ্লেষণ করলে দ্বিন শব্দের বহুমুখী অর্থ বেরিয়ে আসবে। যেমন : এক : প্রতিফল বিচার বা ফায়সালা করা : যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, বিচার দিবসের মালিক। (সুরা : ফাতিহা, আয়াত : ৪) ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, এখানে দ্বিন দ্বারা প্রতিফল এবং হিসাব নেওয়াকে বোঝানো হয়েছে। (আল-তাবারি, জামিউল বায়ান ফি তাফসিরিল কোরআন, বৈরুত : দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি ২০০১ খ্রি. , ৯ম খণ্ড, পৃ. ২৯২) অন্য আয়াতে এসেছে : তুমি কি জান বিচার দিবস কী? অতঃপর তুমি কি জান বিচার দিবস কী? যেদিন কেউ কারো কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর। (সুরা :...
পবিত্র কোরআনে দ্বিন শব্দের বিভিন্ন অর্থ
উম্মে আহমাদ ফারজানা
সারা হালবিয়্যা (রহ.): উত্তর আফ্রিকার নারী কবি ও ভাষাবিদ
হিজরি সপ্তম শতকে উত্তর আফ্রিকার বিখ্যাত সুফি কবি ও ভাষাবিদ ছিলেন সারা হালবিয়া (রহ.)। তাঁর পুরো সারা বিনতে আহমদ বিন উসমান বিন সালাহ হালবিয়া। তিনি উত্তর আফ্রিকার সোনালী যুগের কবি, সাহিত্যিক ও আরবি ভাষাবিদ ছিলেন। তিনি আরবি ভাষার ইতিহাস, কবিতা, ব্যাকরণ ও অলংকার শাসে্ত্র বিশেষ দক্ষ ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে সারা হালবিয়া (রহ.) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন নারী। তিনি একজন প্রসদ্ধি কবি হওয়ার পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ চিকিত্সক, হস্তলিপি শিল্পী ও কুটির শিল্পী ছিলেন। তিনি নানা ধরনের হস্তশিল্পে দক্ষ ছিলেন। তিনি স্বর্ণ দিয়ে নানা শিল্পকর্ম করতেন এবং তাতে বিভিন্ন লেখা ও চিত্র অংকন করতেন। এছাড়াও তিনি তাসাউফ ও কালামশাসে্ত্রও অগ্রগামী ছিলেন। তাঁর পরিবার শাম অঞ্চল থেকে আফ্রিকায় আসেন এবং আফ্রিকার মুসলিম ইতিহাসে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেন। অবশ্য কোনো কোনো...
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনসম্পৃক্ততার ধারণা
আতাউর রহমান খসরু
রাষ্ট্রের প্রাণস্পন্দন জনগণ। জনসাধারণকে ঘিরেই আবর্তিত হয় রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যক্রম। তাই ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনায় জনসম্পৃক্ততাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করে। ইসলামের শিক্ষা হলো শাসক রাষ্ট্রপরিচালনায় যেমন জনগণের মতামত ও মনোভাবকে গুরুত্ব দেবে, তেমনি জনসাধারণের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করবে। কেননা ইনসাফই জনসম্পৃক্ততার গণভিত্তি। ইসলামী রাষ্ট্রে জনসম্পৃক্ততার ধারণা ইসলাম রাষ্ট্রপরিচালনায় সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণের মতো প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার কথা যেমন বলে, তেমন সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের তাগিদও প্রদান করে। কেননা প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার মতো মানসিক সম্পৃক্ততাও গুরুত্বপূর্ণ, বরং ক্ষেত্রে বিশেষ মনোসংযোগ ও সংহতি বাহ্যিক সম্পৃক্ততার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ...
লোক-দেখানো ইবাদত অগ্রহণযোগ্য
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
লোক-দেখানো ইবাদত কিংবা লৌকিকতা-পূর্ণ আমলকে রিয়া বলে। ইসলামী শরিয়তে রিয়া নিষিদ্ধ ও হারাম। যে ইবাদতে রিয়া বা লোক-দেখানো মনোভাব থাকে, সে ইবাদত অগ্রহণযোগ্য। তার বিনিময়ে কোনো প্রতিদানও পাওয়া যাবে না। আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী বলেন, যে ব্যক্তি সম্পদ ও সুনামের জন্য জিহাদ করে, সে কী প্রতিদান পাবে? তিনি বলেন, সে কিছুই পাবে না। লোকটি একই প্রশ্ন তিনবার করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেকবার বললেন, সে কিছুই পাবে না। এরপর তিনি বললেন, যে আমল কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করা হয়, এমন খাঁটি আমল ছাড়া আল্লাহ তায়ালা আর কিছুই কবুল করেন না। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩১৪৪) লোক-দেখানো মনোবৃত্তিসম্পন্ন ইবাদতের কারণে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর