ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ওস্তাদ ছিলেন ইমাম হাম্মাদ (রহ.)। তাঁর ইন্তেকালের পর ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর অন্তরে ফিকাহ সংকলনের চিন্তা উদিত হয়। ততদিনে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিসীমা সিন্ধু থেকে সেপন পর্যন্ত, আর আফ্রিকা থেকে এশিয়া মাইনর পর্যন্ত। সঙ্গত কারণে ইবাদত-আমল, সামাজিকতা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে দিন দিন এত সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল যে একটি বিন্যস্ত আইন বিধি ছাড়া শুধু বর্ণনার ভিভিতে জনসময়ে পর্যালোচনা করে সমাধানের ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ) এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন। তিনি ফিকাহ সংকলনের জন্য ৪০ জন তত্কালীন বিখ্যাত ইসলামী আইনজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করেন। এই ফিকাহ মজলিসে প্রশ্নের আলোকে কোনো মাসআলা উত্থাপন করে সদস্যদের প্রত্যেককে সে বিষয়ে মতামত পেশ করতে বলতেন এবং আলোচ্য বিষয়ে প্রত্যেকের অভিমত পর্যালোচনা করতেন। সদস্যবর্গ তাদের জ্ঞানগর্ব...
ফিকাহ সংকলনে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর কর্মপন্থা
উম্মে আহমাদ ফারজানা

বদনজরের নেতিবাচক প্রভাব
আবু তাশফিন

যেসব জিনিস মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু, তার মধ্যে একটি হলো বদনজর। বদনজর সত্যিই মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের বদনজরের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো। কেননা বদনজর সত্য বা বাস্তব ব্যাপার। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮) বদনজর এতটাই মারাত্মক ক্ষতিকারক যে নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জিনিস যদি ভাগ্যকে অতিক্রম করতে পারত, তাহলে বদনজরই তা অতিক্রম করতে পারত। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৫৯) এ জন্য আমাদের উচিত বদনজর থেকে নিরাপদে থাকতে সর্বদা মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। নিজের ও সন্তানদের ওপর যাতে কারো বদনজর না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং অন্য কারো সম্পদে যাতে নিজের বদনজর না পড়ে, সেদিকেও সতর্ক থাকা। কারো কোনো অর্জন দেখলে তাতে হিংসা না করে তার জন্য বরকতের দোয়া করা। কারণ...
নবীজি (সা.)-এর রমজানপূর্ব প্রস্তুতি যেমন ছিল
আসআদ শাহীন

রমজান মাস মহান আল্লাহর এক বিশেষ অনুগ্রহ, যা তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি দান করেছেন। এটি এমন এক মাস, যেখানে নেক আমলের প্রতিদান বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এই মাসের বিশেষত্ব অন্য সব মাস থেকে আলাদা, কেননা এ মাসেই আল্লাহ তাআলা মানবজাতির পথনির্দেশক হিসেবে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন : রমজান মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সত্যপথের সুস্পষ্ট দিশা আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) এই মাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত হলো লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এই পবিত্র মাসকে পরম আনন্দ ও উত্সাহের সঙ্গে বরণ করতেন। তিনি ইবাদত-বন্দেগি, দান-সদকা ও সত্কর্মে আত্মনিয়োগ করতেন এবং সাহাবিদেরও এ মাসের গুরুত্ব বোঝাতেন। তিনি তাঁদের সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন যে : তোমাদের কাছে রমজান উপস্থিত...
প্রযুক্তি যখন কোরআন বুঝতে সহায়ক
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রুত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। খুলছে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার। এক সময় যেসব বিষয় মানুষের কাছে ছিল কেবল কল্পনা, এখন তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এক সময় মানুষের কাছে যা মনে হতো নিছক রূপকথা, এখন তার অনেকগুলোই মানুষের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এভাবে মহান আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর বান্দাদের বিভিন্ন নিদর্শনের সাক্ষী করে তাঁর বড়ত্বের জানান দেন, যা থেকে কেবল জ্ঞানীরাই শিক্ষা গ্রহণ করে। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আল্লাহর সাহায্যে সংঘটিত হওয়া নবী-রাসুলদের মুজিজাগুলোও ঠিক এরকম। মহান আল্লাহ বিভিন্ন সময় তাঁর মনোনীত বান্দাদের সাহায্য করতে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত করেছেন, যা সে যুগের মানুষের কাছে অকল্পনীয় ছিল। যারা ঈমানদার ছিল, এসব ঘটনা তাদের ঈমান আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল, আর যারা ছিল বেঈমান, তারা মহান আল্লাহর এসব কুদরতের নিদর্শনকে জাদুটোনা কিংবা অন্য কোনো...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত