পবিত্র কোরআনে বহু শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সর্বাধিকবার এসেছে এমন ২০টি শব্দের বিবরণ দেওয়া হলো। ১. মিন: অর্থ থেকে। শব্দটি ২৩৬৬ বার ব্যবহৃত হয়েছে। ২. আল্লাহ: মহান স্রষ্টার সত্তাগত নাম। এসেছে ২১৫৩ বার। ৩. ফি: অর্থ ভেতর বা মধ্যে। ব্যবহৃত হয়েছে ১১৮৬ বার। ৪. মা: অর্থ যা (ইতিবাচক), না (নেতিবাচক)। ব্যবহৃত হয়েছে ১০১৩ বার। ৫. আল্লাজিনা: অর্থ যারা। ব্যবহৃত হয়েছে ৮১০ বার। ৬. আলা: অর্থ ওপর। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৭০ বার। ৭. লা: অর্থ না। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৬৮ বার। ৮. ইল্লা: ব্যতিত বা ছাড়া। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৬২ বার। ৯. ওয়া-লা: অর্থ এবং না। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৫৮ বার। ১০. ওয়া-মা: অর্থ এবং না (নেতিবাচক) বা এবং যা (ইতিবাচক)। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৪৬ বার। ১১. ইন্না: অর্থ নিশ্চয়ই। ব্যবহৃত হয়েছে ৬০৯ বার। ১২. আন্না: অর্থ নিশ্চয়ই। ব্যবহৃত হয়েছে ৫৩৯ বার। ১৩. ক্বলা: অর্থ সে বলেছে বা তিনি বলেছেন। ব্যবহৃত...
কোরআনে সর্বাধিকবার ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দ
অনলাইন ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় স্বদেশপ্রেম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতীক
আলেমা হাবিবা আক্তার

পেসান্ট্রেন ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যালয়। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার অগ্রযাত্রায় ধর্মীয় এই বিদ্যালয়ের অসামান্য অবদান রয়েছে। পেসান্ট্রেন মূলত একটি আবাসিক মাদরাসা। খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতকে ইন্দোনেশিয়া প্রথম ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের সূচনা হয়। জাভানিজ সাহিত্যের অন্যতম মৌলিক কর্ম বাবাদ মেদাকের বর্ণনা থেকে এমনটিই বোঝা যায়। তবে তা হয়ত পেসেন্ট্রেনের বর্তমান অবয়বে ছিল না। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, ওয়ালিসংগের সময় থেকে ইন্দোনেশিয়ায় পেসান্ট্রেনের বিকাশ ঘটে। ওয়ালিসংগ হলো নয় ইসলাম প্রচারকের একটি দল যারা খ্রিস্টীয় ১৫ ও ১৬ শতকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ইসলাম প্রচার করেন। ধারণা করা হয়, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে প্রচলিত মঠগুলোর আদলেই তারা আবাসিক ধর্মীয় বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। উনবিংশ শতাব্দীতে...
নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের বিশেষ গুরুত্ব

মহাগ্রন্থ আল কোরআন মহান আল্লাহর পবিত্র কালাম। যা মানুষকে আলোকিত করে, ঈমান বৃদ্ধি করে, সঠিক পথের দিশা দেয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, যাদের আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তা পাঠ করে যথার্থভাবে। তারাই তার প্রতি ঈমান আনে। আর যে তা অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২১) এর তিলাওয়াতের ফলে যেমনি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, তেমনি পাওয়া যায় অফুরন্ত সওয়াব। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০) প্রশ্ন হলো, নামাজও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াতও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কেউ যদি নফল নামাজের মধ্যে দীর্ঘ...
ফিকাহ সংকলনে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর কর্মপন্থা
উম্মে আহমাদ ফারজানা

ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ওস্তাদ ছিলেন ইমাম হাম্মাদ (রহ.)। তাঁর ইন্তেকালের পর ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর অন্তরে ফিকাহ সংকলনের চিন্তা উদিত হয়। ততদিনে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিসীমা সিন্ধু থেকে সেপন পর্যন্ত, আর আফ্রিকা থেকে এশিয়া মাইনর পর্যন্ত। সঙ্গত কারণে ইবাদত-আমল, সামাজিকতা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে দিন দিন এত সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল যে একটি বিন্যস্ত আইন বিধি ছাড়া শুধু বর্ণনার ভিভিতে জনসময়ে পর্যালোচনা করে সমাধানের ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ) এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন। তিনি ফিকাহ সংকলনের জন্য ৪০ জন তত্কালীন বিখ্যাত ইসলামী আইনজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করেন। এই ফিকাহ মজলিসে প্রশ্নের আলোকে কোনো মাসআলা উত্থাপন করে সদস্যদের প্রত্যেককে সে বিষয়ে মতামত পেশ করতে বলতেন এবং আলোচ্য বিষয়ে প্রত্যেকের অভিমত পর্যালোচনা করতেন। সদস্যবর্গ তাদের জ্ঞানগর্ব...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর