বান্দার সৌভাগ্যের মূল ভিত্তি হলো, আল্লাহর ভালোবাসা। যার অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা আছে, তার আত্মা প্রশান্ত হয়। তার অন্তরে হেদায়েতের আলো প্রজ্বলিত হয়। তার দুনিয়া-আখিরাত সাফল্যমণ্ডিত হয়। তাইতো নবীজি (সা.) মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধির দোয়া করতেন। তিনি দোয়া করতেনহে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা, আপনার প্রেমিকদের ভালোবাসা এবং সেই আমলের ভালোবাসা চাই, যা আমাকে আপনার মহব্বতের নিকটবর্তী করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৩৫) কারণ আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসে তখন আসমানের অধিবাসীরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করে। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যদি কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরাঈল (আ.)-কে ডাক দেন এবং বলেন, নিশ্চয়ই আমি অমুক লোককে ভালোবাসি, তুমিও তাকে ভালোবাস। তিনি বলেন, তখন জিবরাঈল (আ.) তাকে...
যেসব আমলে অন্তরে আল্লাহপ্রেম জাগে
মাইমুনা আক্তার

ইতালিতে রমজান মাসে ধর্মীয় কার্যক্রম
আবরার আবদুল্লাহ

দক্ষিণ ইউরোপে অবস্থিত ভূমধ্য সাগরীয় দেশ ইতালিতে ইসলাম নবাগত কোনো ধর্ম নয়, বরং ইতালির ভাগ্যোন্নায়নের অনেক কিছু হয়েছে মুসলিমদের নেতৃত্বে। ইসলামের সোনালি যুগে ইতালির সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ মুসলিম শাসনাধীন ছিল। এখানেই জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত মুসলিম কবি ও দার্শনিক ইবনে হামাদিস সিসিলি। ইতালির সমাজ আরব সভ্যতা ও সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। বিশেষত পশ্চিম ইতালির যেসব দ্বীপগুলো আরব রাষ্ট্রগুলোর নিকটবর্তী, সেখানে আরব রীতি-নীতি ও জীবনাচরণের ছাপ পাওয়া যায়। বর্তমানে স্থানীয় ও অভিবাসী মিলে ইতালিতে প্রায় ১৫ লাখ মুসলিম বসবাস করে। জনসংখ্যার দুই দশমিক তিন শতাংশ মুসলিম। ইতালিতে ছোট-বড় ৪৫০টি মসজিদ আছে। ইতালি গোড়া ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রাণকেন্দ্র ভ্যাটিক্যানের দেশ হলেও সেখানে মুসলমানের আগমন হয়েছিল খুব সহজেই। সেটা সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে হোক, যেমন সিসিলিতে অথবা...
অতিশয় বৃদ্ধের রোজা ও রমজান
উম্মে আহমাদ ফারজা

যেসব নারী-পুরুষ অতিশয় বার্ধক্যের কারণে দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় উপনীত, তাঁদের জন্য রোজা না রাখা বৈধ। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো। নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া তথা একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সত্কাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩-১৮৪) মাসআলা: রোজা রাখতে অক্ষম বৃদ্ধ ব্যক্তি রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া আদায় করবেন। (কামুসুল ফিকহ: ৪/৪৫০) বৃদ্ধের সংজ্ঞা এভাবে দেওয়া হয়েছে, এই পরিমাণ...
মাহে রমজান ও সিয়াম সাধনার শিষ্টাচার
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

প্রতিটি প্রতিটি বিষয়ের একটি শিষ্টাচার আছে। রোজাদারের জন্য আছে কিছু শিষ্টাচার। যা তার রোজা পালন ও রমজানে করা ইবাদতগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর তাকে সাহায্য করে রমজানের সুফল ঘরে তুলতে। এমন কয়েকটি শিষ্টাচার তুলে ধরা হলো ১. নিষ্ঠার সঙ্গে ইবাদত করা: বিশুদ্ধ নিয়ত ও আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাই ইবাদতের প্রাণ। রমজানের প্রতিটি ইবাদত আল্লাহর জন্যই করা প্রয়োজন। অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকলে তা পরিহার করা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে, সালাত কায়েম করতে এবং জাকাত দিতে, এটাই যথাযথ দ্বিন। (সুরা বাইয়িনা, আয়াত: ৫) প্রতিটি ইবাদতের জন্য ইখলাস বা নিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ। রোজাও তার ব্যতিক্রম নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে রোজা পালন করবে তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর