সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মব জাস্টিসের প্রবণতা দেখা দেয়। যা কখনও পরিকল্পিত আবার কখনও অপরিকল্পিত। পরিকল্পিত এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, পূর্বেই ঘোষণা দিয়ে কারও উপর আক্রমণ করে বসা। আর অপরিকল্পিত এ বিবেচনায় যে কোথাও সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া গেল অথবা কাউকে অপরাধী মনে হলো অথবা প্রকৃতপক্ষেই অপরাধী- ফলে প্রথমে দুয়েক জন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল, সন্তোষজনক না হলে তাকে মারধর করে কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মব তৈরি করে। অতঃপর দেখা যায় আরও কিছু লোক জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে সবাই মারধর করতে থাকে। কোনো কোনো সময় পরিস্থিতির শিকার উক্ত ব্যক্তি মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। প্রকৃত ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই অনেকে এতে জড়িত হয় এবং মনে করে উক্ত ব্যক্তি যেহেতু অপরাধী, তাই তাকে শায়েস্তা করার অধিকার তাদের রয়েছে! প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের মব জাস্টিস প্রচলিত ও ইসলামী আইনের কোথাও অনুমতি দেয়া হয়নি।...
ইসলামী আইনে মব জাস্টিসের কোনো সুযোগ নেই
নুর মোহাম্মদ

রমজানের শেষ মুহূর্তে রাসুল (সা.)-এর আমল
নিজস্ব প্রতিবেদক

রহমত, মাগফিরাতের দশক থেকে শেষ হয়ে শুরু হলো নাজাতের দশক। পবিত্র মাহে রমজানের এই দশকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রাসুল (সা.) এই দিনগুলোতে আমলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন। নিম্নে শেষ দশকে নবীজি (সা.)-এর বিশেষ কিছু আমল তুলে ধরা হলো : ১. ইবাদতের মাত্রা বৃদ্ধি : পবিত্র রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইবাদতের মাত্রা খুব বেশি বাড়িয়ে দিতেন। শেষ দশক এলে এর মাত্রা আরো বেড়ে যেত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ দশকে ইবাদতের মাত্রা এত বেশি বাড়িয়ে দিতেন, যেমনটি অন্য সময় করতেন না। (আস সুনানুল কুবরা, হাদিস : ৮৩৫১; মুসলিম, হাদিস : ১১৭৫) অন্য হাদিসে আয়েশা (রা.) বলেন, শেষ দশকে নবীজি (সা.) কোমর বেঁধে আমল করতেন। অর্থাৎ খুব গুরুত্বসহ আমলে লিপ্ত থাকতেন। ২. পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দেওয়া : রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা রাত জেগে থাকতেন। শেষরাতে পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। আয়েশা...
যাকাত যে আট শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়
অনলাইন ডেস্ক
আল্লাহতায়ালা যাকাত কোন শ্রেণির মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আল্লাহর নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী যাকাত আট শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়। (সুরা তাওবা : আয়াত ৬০) যাকাত যে আট শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যে দিতে হয়: ১। ফকির, যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই। ২। মিসকিন, যাদের কোনো সম্পদ নেই। ৩। যারা ইসলামি রাষ্ট্রের সরকারকর্তৃক যাকাত, সদকা, ওশর ইত্যাদি উসুল করার কাজে নিয়োজিত। ৪। ইসলামের দিকে ধাবিত করার জন্য যাকাত প্রদান । তবে এ খাতটি বর্তমান সময়ের জন্য নয়। ৫। নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ দাস-দাসী। ৬। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাল না থাকার দরুণ ঋণ পরিশোধে অক্ষম ঋণী ব্যক্তি। ৭। মুজাহিদ, যারা যুদ্ধের অস্ত্র যোগাতে অক্ষম অথবা টাকার কারণে হজের কাজ পূর্ণ করতে অক্ষম বা ইলম হাসিল ও দ্বীনি দাওয়াতের কাজে...
রোজাদারের মানসিক প্রশান্তি
আলেমা হাবিবা আক্তার

যেকোনো ইবাদত মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে। তবে রোজা রেখে মুমিন অন্যসব ইবাদতের তুলনায় অধিক প্রশান্তি খুঁজে পায়। কেননা রোজাদারের জন্য আল্লাহ যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তা যেমন প্রেমময়, তেমনি অতিসম্মানের। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই রোজা ছাড়া। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর রেদাদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭) রোজাকে আল্লাহ নিজের দিকে সম্বোধন করে বলেছেন, রোজা আমার জন্য। যা একজন আল্লাহপ্রেমী মুমিনের জন্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। মুহাদ্দিসরা বলেন, রোজা রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা মুক্ত হওয়ার কারণেই আল্লাহকে তাকে নিজের দিকে সম্বোধন করেছেন। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, অন্যান্য ইবাদতে রিয়া (অন্যকে দেখানোর আগ্রহ)...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর