স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব মহান আল্লাহর কাছে অতি জঘন্য আর শয়তানের অতি পছন্দের বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বদা ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও সমঝোতা একান্ত কাম্য। অপরদিকে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক-হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরে ভুল বুঝা-বুঝি বা একে অপরকে অসম্মান করার চূড়ান্ত পর্যায়ে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পরকীয়া, স্ত্রীর উচ্চ বিলাসিতা ও স্বামীর আচরণেও অনেক সময় বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। এ জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনো কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হলে প্রথমেই তা মিটিয়ে ফেলা উচিত। স্ত্রীদের পক্ষ থেকে স্বামীর অবাধ্যতা বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ঝামেলা হলে সংশোধনের জন্য চারটি ধাপ রয়েছে। কোনটিতেই কাজ না হলে পঞ্চম ধাপে বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তালাকের প্রসঙ্গ আসে। সেটি ঘৃণিত কাজ। আন্তরিক হলে প্রথম চারটি ধাপেই সমাধান হয়ে যাবে...
কোরআনের আলোকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

মসজিদে দুনিয়াবি কথাবার্তায় বিধি-নিষেধ
মুফতি মাহমুদ হাসান

মসজিদ হলো আল্লাহ তাআলার নিদর্শন ও ইসলামের প্রতীক। ইসলামের প্রতীককে সম্মান দেখানো ঈমানের দাবি। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, যে আল্লাহর নিদর্শনকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই। (সুরা হজ, আয়াত : ৩২) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এসব মসজিদ বানানো হয়েছে আল্লাহর স্মরণ ও আলোচনা, নামাজ ও কোরআন পাঠের জন্য। (মুসলিম, হাদিস : ২৮৫) মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলা নিষদ্ধি মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলা মসজিদের আদব ও সম্মানবহিভর্ূত কাজ। সুতরাং এটি নিষদ্ধি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা তোমাদের মসজিদকে অবুঝ শিশু ও পাগলদের থেকে দূরে রাখো, তদ্রূপ ক্রয়-বিক্রয়, বিচার-আচার, ঊচ্চস্বর, দণ্ডপ্রদান ও তরবারি কোষমুক্ত করা থেকে বিরত থাকো। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৫০) একটি হাদিসে মসজিদে উচ্চ আওয়াজ ও চেচামেচি কিয়ামতের নিদর্শন হিসেবে উলি্লখিত...
মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর করণীয়
মুফতি আহমাদ আরিফুল ইসলাম

ইসলামে মূল উদ্দেশ্য হলো, রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহর অনুসরণ। কখনো কখনো কোনো ইবাদতে একাধিক সহিহ সুন্নাহর পদ্ধতি পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় ইখতিলাফে তানাওউ অর্থাত্ বৈধ বিকল্পভিত্তিক ভিন্নতা, যা বিরোধ নয় বরং শরিয়তের প্রশস্ততা। তবে পূর্বসূরি মুসলিম মনীষীরা আমাদের শিখিয়েছেন, যে এলাকায় বা যে মসজিদে যে পদ্ধতি প্রচলিত, সেখানে তা-ই বহাল রাখা উচিত। ভিন্ন সুন্নাহ প্রচার করে সাধারণ মুসলি্লদের বিভ্রান্ত করা বা ফেতনা সৃষ্টি করা অনুচিত। ইমাম ইবনে আব্দিল বার (রহ.) বলেন, ইমাম মালেকের বর্ণনার ভিত্তিতে মদিনায় রাফয়ে ইয়াদাইন কেবল নামাজের শুরুতে করা হতো এবং সেখানকার উলামায়ে কেরাম প্রচলিত পদ্ধতির বিরোধিতা করতেন না। (আল-ইসতিযকার, ৪/১০১) শায়খ বিন বাজ (রহ.) বলেন, যদি কোনো মুস্তাহাব আমল (যেমন রাফয়ে ইয়াদাইন বা জোরে আমিন) দ্বারা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়, তবে তা ছেড়ে...
বসে নামাজ পড়লে অর্ধেক সওয়াব
সাখাওয়াত উল্লাহ

ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বসে সালাত আদায়কারীর ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ানো ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব। আর যে শুয়ে আদায় করল, তার জন্য বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব। (বুখারি, হাদিস : ১১১৬) এ হাদিসের আলোকে ইসলামী আইনবিদরা লিখেছেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ বসে পড়া শুদ্ধ নয়। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০) তবে হ্যাঁ, কোনো সমস্যা বা ওজরের কারণে বসে নামাজ পড়তে পারবে। আর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য নফল নামাজ বসে পড়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ১০৪৯) যে ব্যক্তি বসে নামাজ পড়বে সে তাশাহহুদের মতো করে বসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২/৫২৭) দাঁড়িয়ে নফল নামাজ শুরু করা ব্যক্তি বসে তা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর