স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব মহান আল্লাহর কাছে অতি জঘন্য আর শয়তানের অতি পছন্দের বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বদা ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও সমঝোতা একান্ত কাম্য। অপরদিকে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক-হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরে ভুল বুঝা-বুঝি বা একে অপরকে অসম্মান করার চূড়ান্ত পর্যায়ে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পরকীয়া, স্ত্রীর উচ্চ বিলাসিতা ও স্বামীর আচরণেও অনেক সময় বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। এ জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনো কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হলে প্রথমেই তা মিটিয়ে ফেলা উচিত। স্ত্রীদের পক্ষ থেকে স্বামীর অবাধ্যতা বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ঝামেলা হলে সংশোধনের জন্য চারটি ধাপ রয়েছে। কোনটিতেই কাজ না হলে পঞ্চম ধাপে বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তালাকের প্রসঙ্গ আসে। সেটি ঘৃণিত কাজ। আন্তরিক হলে প্রথম চারটি ধাপেই সমাধান হয়ে যাবে...
কোরআনের আলোকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর করণীয়
মুফতি আহমাদ আরিফুল ইসলাম

ইসলামে মূল উদ্দেশ্য হলো, রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহর অনুসরণ। কখনো কখনো কোনো ইবাদতে একাধিক সহিহ সুন্নাহর পদ্ধতি পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় ইখতিলাফে তানাওউ অর্থাত্ বৈধ বিকল্পভিত্তিক ভিন্নতা, যা বিরোধ নয় বরং শরিয়তের প্রশস্ততা। তবে পূর্বসূরি মুসলিম মনীষীরা আমাদের শিখিয়েছেন, যে এলাকায় বা যে মসজিদে যে পদ্ধতি প্রচলিত, সেখানে তা-ই বহাল রাখা উচিত। ভিন্ন সুন্নাহ প্রচার করে সাধারণ মুসলি্লদের বিভ্রান্ত করা বা ফেতনা সৃষ্টি করা অনুচিত। ইমাম ইবনে আব্দিল বার (রহ.) বলেন, ইমাম মালেকের বর্ণনার ভিত্তিতে মদিনায় রাফয়ে ইয়াদাইন কেবল নামাজের শুরুতে করা হতো এবং সেখানকার উলামায়ে কেরাম প্রচলিত পদ্ধতির বিরোধিতা করতেন না। (আল-ইসতিযকার, ৪/১০১) শায়খ বিন বাজ (রহ.) বলেন, যদি কোনো মুস্তাহাব আমল (যেমন রাফয়ে ইয়াদাইন বা জোরে আমিন) দ্বারা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়, তবে তা ছেড়ে...
ইতিহাস পড়ে উপকৃত হওয়ার শর্তাবলী
আতাউর রহমান খসরু

জ্ঞানের অন্যতম উত্স ইতিহাস। ইতিহাস মানুষ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। মানুষ ভুল-ত্রুটি শুধরে নিয়ে জীবনকে সুন্দর করার সুযোগ লাভ করে। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে মানবজাতিকে ইতিহাস চর্চার আহ্বান জানানো হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি ও দেখেনি তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছিল? পৃথিবীতে তারা ছিল তাদের চেয়ে সংখ্যায় অধিক এবং শক্তিতে ও কীর্তিতে অধিক প্রবল। তারা যা করত তা তাদের কোনো কাজে আসেনি। (সুরা মুমিন, আয়াত : ৮২) ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ইতিহাস এমন শাস্ত্র যা রাজা ও মন্ত্রী, সেনাপতি ও প্রশাসক, লেখক ও পথপ্রদর্শক, ধনী ও দরিদ্র, গ্রাম্য ও শহুরে, স্থানীয় ও পর্যটক সবার প্রয়োজন হয়। রাজা অতীতের জাতি ও রাজ্যগুলোর ওপর কি গত হয়েছে তা থেকে শিক্ষা নেবেন, মন্ত্রী অনুসরণ করবেন জ্ঞান ও...
বসে নামাজ পড়লে অর্ধেক সওয়াব
সাখাওয়াত উল্লাহ

ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বসে সালাত আদায়কারীর ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ানো ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব। আর যে শুয়ে আদায় করল, তার জন্য বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব। (বুখারি, হাদিস : ১১১৬) এ হাদিসের আলোকে ইসলামী আইনবিদরা লিখেছেন, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ বসে পড়া শুদ্ধ নয়। (বুখারি, হাদিস : ১০৫০) তবে হ্যাঁ, কোনো সমস্যা বা ওজরের কারণে বসে নামাজ পড়তে পারবে। আর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম ব্যক্তির জন্য নফল নামাজ বসে পড়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ১০৪৯) যে ব্যক্তি বসে নামাজ পড়বে সে তাশাহহুদের মতো করে বসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২/৫২৭) দাঁড়িয়ে নফল নামাজ শুরু করা ব্যক্তি বসে তা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর