ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চাঁদা বা সহযোগিতা গ্রহণের রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মানুষের কাছে এই সহযোগিতা চাওয়ার নানা পন্থা আছে। এর মধ্যে যেগুলো শরিয়তের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে তা গ্রহণযোগ্য আর যা অসংগতিপূর্ণ তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। ইসলামের নামে যে কাজই করা হোক না কেন শরিয়তের মাপকাঠি দিয়ে মেপে নিতে হবে। এমনকি নামাজের মতো ইবাদতও শরিয়তের নিয়ম রক্ষা করে হচ্ছে কি না তা দেখে নিতে হবে। যেমন কেউ যদি বিনা অজুতে নামাজ পড়ে বা ইচ্ছাকৃতভাবে কেবলা দিকে না ফিরে নামাজ পড়ে তবে তার নামাজ শুদ্ধ হবে না। দ্বিনি কাজের নামে চাঁদা বা সহযোগিতা গ্রহণেরও নির্ধারিত কিছু শর্ত আছে যা পাওয়া গেলেই শুধু তা জায়েজ হতে পারে। বর্তমান যুগের বহু চাঁদা গ্রহণকারী এসব শর্তের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেন না। মানুষের আর্থিক লেনদেন দুই প্রকার : ক. কোনো কিছুর বিনিময়ে কোনো কিছু দান করা, খ. বিনিময়...
দ্বিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য সহযোগিতা গ্রহণের নিয়ম
আল্লামা আশরাফ আলী থানবি (রহ.)

তাওয়াক্কুল কী ও কেন, এর সুফল কী?
মাইমুনা আক্তার

তাওয়াক্কুল মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো নির্ভর করা, ভরসা করা, আস্থা রাখা। তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ অর্থ হলো আল্লাহর ওপর ভরসা করা। মুমিনজীবনে তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব অপরীসীম। কারণ তাওয়াক্কুলের সঙ্গে ঈমান ও দ্বিন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, তাওয়াক্কুল দ্বীনের অর্ধেক, অন্য অর্ধেক হলো ইনাবাহ (আল্লাহর দিকে ফিরে আসা)। কেননা দ্বীন দুই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে, ইবাদত ও সাহায্য চাওয়া। তাওয়াক্কুল হলো সাহায্য চাওয়া এবং ইনাবাহ হলো ইবাদত। তাওয়াক্কুল এমন একটি স্তর, যা দ্বীনের সব কাজের সঙ্গে জড়িত। এটি দ্বীনের সবচেয়ে বিস্তৃত ও পূর্ণাঙ্গ স্তর। (মাদারিজুস সালিকীন) আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করার মানে এই নয় যে, আসবাব ও উপকরণ গ্রহণ করা বৈধ। কেননা আল্লাহ তাআলা দুনিয়াকে দারুল আসবাব তথা উপকরণের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়েছেন। তাই আসবাব বা উপকরণ গ্রহণ করতে হবে। ইবনে আব্বাস...
বিবাহে সমতাবিধি অনুসরণ না করার ক্ষতি
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য পরিবার গঠনের উদ্দেশ্যে বিবাহবন্ধন হলো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথা। বিবাহের মাধ্যমে যে পবিত্র বন্ধন তৈরি হয়, তা শুধু পরিবার গঠনে সহায়ক হয় না; বরং নৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা দেয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, তিনিই (আল্লাহ) মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তোমার রব সর্বশক্তিমান। (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৫৪) ইমাম বুখারি (রহ.) বুখারি শরিফে এই আয়াতকে কুফু অধ্যায়ের সূচনায় উল্লেখ করেছেন। আল্লআমা বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) তার কারণ উল্লেখ করে লিখেছেন, এই আয়াতকে এখানে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা জানিয়ে দেওয়া যে বংশ ও শ্বশুর-জামাতার সম্পর্ক এমন জিনিস, যার সঙ্গে কুফুর ব্যাপারটি সম্পর্কিত। বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে যাতে ভবিষ্যত্ বংশ রক্ষার ব্যবস্থা হয়, সেই দৃষ্টিতে কুফু...
জীবজন্তুর প্রতি সদয় আচরণ
সাব্বির আহমদ

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, যেখানে শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে ইনসাফ ও দয়াকে উত্সাহিত করা হয়নি, বরং পশু-পাখিসহ সমস্ত সৃষ্টির প্রতি সদয় আচরণ করতেও সমানভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের কল্যাণের জন্য অনেক জীবজন্তু সৃষ্টি করে দিয়েছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে সেসব জীবজন্তু কোনো তুচ্ছ বা অবহেলিত প্রাণী নয়; বরং তাদের প্রতিও ইসলাম ঘোষণা করেছে করুণা, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার শিক্ষা। জীবজন্তুর মর্যাদায় কোরআন আল্লাহ তাআলা বলেন, পৃথিবীর বুকে যত জীবজন্তু আছে, তাদের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর। (সুরা হুদ, আয়াত : ৬) তিনি আরও বলেন, আর তিনি গবাদিপশু সৃষ্টি করেছেন। এতে রয়েছে তোমাদের জন্য উষ্ণতা ও নানাবিধ উপকার। (সুরা নাহল, আয়াত : ৫) হাদিসে জীবজন্তুর প্রতি দয়ার আহবান ১. আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, .... জনৈক লোক দেখতে পেল যে,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর