এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের ফিতরার এ হার নির্ধারণ করা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা রমজানের গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্থিক ইবাদত। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা এদিকে ইঙ্গিত করে বলেন, নিশ্চয়ই সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়। (সুরা আলা, আয়াত : ১৪) ইসলামী বিধানমতে, সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা জব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটি ওয়াজিব। (বুখারি, হাদিস : ১৫১২) সদকাতুল ফিতরের দুটি তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.)...
ফিতরা কার ওপর ওয়াজিব, কাকে দেবেন
ধর্ম জীবন ডেস্ক

রমজানে ইমাম বুখারি (রহ.)-এর কোরআন তিলাওয়াত
অনলাইন ডেস্ক

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ বরকতময় সময়, যেখান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের সুযোগ মেলে। এই মাসের অন্যতম বৈশষ্ট্যি হলো কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান। ইতিহাস সাক্ষী, আমাদের পূর্বসূরি মনীষীরা রমজানে অন্যান্য ইবাদতের তুলনায় কোরআন তিলাওয়াতকে অধিক অগ্রাধিকার দিতেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারি (রহ.), যিনি হাদিস সংকলনে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করলেও কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি গভীর অনুরাগ পোষণ করতেন। ইমাম বুখারি (রহ.) শুধুমাত্র হাদিস সংকলনে ব্যস্ত ছিলেন না, বরং কোরআনের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ছিল। পবিত্র রমজান মাসে তাঁর তিলাওয়াতের পরিমাণ ছিল অভূতপূর্ব। ইতিহাসবিদ আল্লামা খতিবে বাগদাদি (রহ.) বলেন, ইমাম বুখারি (রহ.) প্রতিদিন সাহরির সময় কোরআনের অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতেন এবং প্রতি...
রোজার মূল উদ্দেশ্য
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

রোজা বা সওম কেবল পানাহার ত্যাগ করার নাম নয়। বরং এটি তাকওয়া অর্জন ও মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। পাপমুক্ত সংযত জীবন পরিচালনার অনুশীলন। অন্য সময়ের মতো সব ধরনের পাপে দিব্যি লপ্তি থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকাকেই রোজা বলা যায় না। কেউ যদি সত্যিই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে রোজা রাখতে চায়, তার উচিত, সব ধরনের পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে রোজা রাখা আপ্রাণ চেষ্টা করা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা, তদনুযায়ী কাজ করা ও মূর্খতা (অন্যায়-অবিচার) পরিত্যাগ করে না, তার খাদ্য ও পানীয় ত্যাগ করার কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। (বুখারি, হাদিস: ১৯০৩) হাদিস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ প্রথমত: এই হাদিসটি রোজার উদ্দেশ্য বোঝার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা রোজাকে...
ইসলামে যেভাবে রোজার প্রবর্তন হয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

আরবি সাওম ও সিয়াম শব্দের অনুবাদ হিসেবে রোজা ব্যবহার হয়ে থাকে। রোজা ফারসি থেকে বাংলায় এসেছে। পবিত্র কোরআনে সাওম শব্দটি এক জায়গায় (সুরা মারইয়াম : ২৬) আর সিয়াম শব্দটি ৯ জায়গায় [সুরা বাকারা : ১৮৩, ১৮৭ (২বার), ১৯৬ (২ বার); সুরা নিসা : ৯২; সুরা মায়েদা : ৮৯, ৯৫; সুরা মুজাদালা : ৪] ব্যবহার হয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে শব্দ দুটির প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। সাওম ও সিয়ামের মূল অক্ষর একই। ইসলামী পরিভাষায় সাওম বা সিয়াম হলো, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকা। যুগে যুগে রোজার বিধান ছিল এবং ইসলামেও এ বিধান প্রবর্তন হয়েছে। ইসলাম পূর্ব যুগে রোজা : ইসলামপূর্ব সবযুগেই রোজার বিধান ছিল। আলী (রা.) ও হাসান বসরি (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে যে আদম (আ.)- এর যুগ থেকে শুরু করে সব উম্মতের উপরই রোজা ফরজ ছিল। (ইজুহুল মিশকাত , ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫৬) মুুসা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর