কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে হামলার ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে হামলার ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা আতঙ্কে আছেন। ঘটনার ৪ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। দুপক্ষের দুটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে হামলার ঘটনার পর থেকে কলেজে উপস্থিতি কমে গেছে বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ।

গত ৫ জুন বুধবার দুপুরে দৌলতপুর কলেজে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে বহিরাগতরা এসে হামলা ও ভাঙচুর করে।  

কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে কর্মচারীদের হামলাকারীরা মারধর করে। অধ্যক্ষের গাড়ি ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমন দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।

মামলা না নেওয়ায় অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমন বিচার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।  

বলেছেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন হামলার পর থেকে কলেজে শিক্ষক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। তারা আতঙ্কে আছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবগত করতে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন বলেও জানান।

অন্যদিকে এ ঘটনার দায় অধ্যক্ষের উপর চাপিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ আমান দাবি করেন শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে তারা অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান। সে সময় অধ্যক্ষ ও তার লোকজন অস্ত্র বের করে গুলি চালাতে যায়। এ ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকেও থানায় আলাদা অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।

দৌলতপুর থানার মাহবুবুর রহমান মিনে বলেন, দুই পক্ষই মিথ্যা মামলা জমা দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে, ভাঙচুর ও মারধর হয়েছে বলে স্বীকার করেন ওসি।

আর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, দুটি অভিযোগই তদন্ত পর্যায়ে আছে। প্রকৃত ঘটনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক