দেশে দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা শাসনের নামে অপশাসন, শোষণ ও নিষ্পেষণের অবসান হয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ মুক্তি পায় এক ভীষণ দুর্দশা থেকে। বাংলাদেশের মানুষ আবারও হাসতে শেখে। আবারও স্বপ্ন দেখার সাহস পায়। সেই স্বপ্ন নতুন এক বাংলাদেশের। সংস্কার হওয়া একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের রাজনীতির দিকে তাকালে দেখা যায়, কয়েক বছর পর পরই আমাদের ওপর স্বৈরশাসনের বোঝা জেঁকে বসেছে বা বসার চেষ্টা করেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় সংবিধানের পরস্পরবিরোধী কিছু অনুচ্ছেদ ও ধারাকে। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে (মৌলিক অধিকার) ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদের ১ নম্বর উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল। এই অনুচ্ছেদেরই ২(ক) উপ-অনুচ্ছেদে...
স্বপ্ন এখন নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের
রাকিন মোনতাসিম, শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
সংস্কারের ঐকমত্য হতে হবে নাগরিকের সঙ্গে সামাজিক চুক্তি
অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর, রাজনীতি ও সরকার বিভাগ ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো
অনলাইন ডেস্ক
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে উত্তাল সময় পার করছি আমরা। জুলাইয়ের অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এক অস্থির ও সম্ভাবনার সময় উপস্থিত হলেও এই অবস্থায় এসে উপনীত হওয়ার পেছনে আছে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিকতা। এই ধারাবাহিকতার প্রেক্ষাপটেই রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রশ্নটি বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতি ৫৩ বছর ধরেই এক ধরনের দোলাচলের মধ্যে কাটিয়েছে। সংকট ও সম্ভাবনার, আশা ও আশাভঙ্গের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ জীবন যাপন করেছে। এই সময়ে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটেছে বহুবার। ১৯৭২ সালে সংসদীয় ব্যবস্থা দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সেই ব্যবস্থার অবসান ঘটে সাড়ে তিন বছরের মাথায়বাংলাদেশ একটি একদলীয় রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। তার অবসান ঘটে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেনাশাসনের দীর্ঘ...
আমাদের স্বপ্নটা খুব বেশি না
অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাছ থেকে মূল চাওয়াটা হচ্ছে, আইনের শাসন, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন, ক্ষমতার বিভাজন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গেলে যেসব প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভেতর দায়বদ্ধতা আনে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীন পদচারণ। বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখি, নব্বইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একবার গণতন্ত্রে ফেরত এলাম। তারপর মোটামুটি দুটি ভালো সরকারএকটা আওয়ামী লীগ, একটা বিএনপি পেলাম। তার পর একেকটি দলের যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হলো, তখন থেকেই গণতান্ত্রিক আদর্শগুলো ধারাবাহিকভাবে ক্ষয় হতে থাকল। এটারই শেষ রূপ আমরা দেখেছি গত প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনে। আইনের শাসন, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে একটা পর্যায়ের পর খুব বড় পার্থক্য যে ছিল তা কিন্তু...
নতুন বাংলাদেশের সংবিধান: একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনীতি বিশ্লেষক
অনলাইন ডেস্ক
জুলাই বিপ্লবের প্রধান দাবি ছিল এবং এখনো আছে যে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। এর অর্থ হলো, বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে পুরনো (১৯৭২-২০২৪) রাজনৈতিক ব্যবস্থা ব্যাপক পরিবর্তন করে এক নতুন ব্যবস্থাপনার সূচনা করতে হবে। এবং তার জন্য অন্যান্য পরিবর্তনের পাশাপাশি আনতে হবে একটি নতুন সংবিধান। কিভাবে ও কোন কার্যপ্রণালীর দ্বারা এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজটির সমাধান হবে তা-ই এ লেখার উদ্দেশ্য। সংবিধান যেকোনো জাতি ও দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। যদি জনগণ একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় বসবাস করতে চায়, তাদের অবশ্যই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান থাকতে হবে। গণতান্ত্রিক সংবিধান দেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবিবেকের চর্চা প্রতিস্থাপন করে এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সমাজব্যবস্থার বন্দোবস্ত করে, যা সে দেশের জনগণের জীবন...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর