সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল

সংগৃহীত ছবি

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল

অনলাইন ডেস্ক

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ আগস্ট) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

পঞ্চদম সংশোধনী বাতিল চেয়ে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সহ ৫ জন এই রিট দায়ের করেন।

পঞ্চদশ সংশোধনী স্থগিত করা হলে কোন সাংবিধানিক সমস্যা হবে না বলে শুনানীতে তুলে ধরে এক আইনজীবী বলেন, সংসদে যখন এই বিল পাশ হয় তখন গনশুনানী করা হয়নি।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে গনতন্ত্রকে দূর্বল করা হয়েছে।

এই সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এই রুল চান আইনজীবীরা।

পরে সুজনের সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী থাকলে বিগত বিগত দিনের ভোট রাতে হতোনা। এছাড়া সম্প্রতি শত শত মানুষের প্রাণহানীও হতোনা।

তিনি আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে তত্বাবধয়ক বাতিল করা হয়, যার কোন  প্রয়োজন ছিলো না।  হুটকরে একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা যায় না, অনেকগুলো সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় ২০১১ সালের ৩রা জুলাই।  এই সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়|

সংশোধনীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। যদিও তাতে আরও দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রাখা যেতে পারে বলে সুপারিশও করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।  গণভোট ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়।

news24bd.tv/DHL