বিচারকদের অবসর-পরবর্তী নিয়োগ নিষিদ্ধ থাকার পর যেভাবে বৈধতা পেলো
ইকতেদার আহমেদ
প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকদের সব ধরনের প্রলোভনের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য ৭২-এর সংবিধানের ৯৯ অনুচ্ছেদে তাঁদের সবার ক্ষেত্রে অবসর-পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারকদের অবসর-পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক বিচারিক ও আধা বিচারিক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য করা হয় এবং হাই কোর্ট বিভাগ থেকে অবসর-পরবর্তী আপিল বিভাগে ওকালতি করার যোগ্য করা হয়।
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগ কর্তৃক বাতিল ঘোষিত হলে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অবসর-পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের বিচারিক ও আধা বিচারিক পদে নিয়োগ এবং হাই কোর্ট বিভাগ থেকে অবসর-পরবর্তী আপিল বিভাগে ওকালতি করার যোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হয়। কিন্তু...
আজকালকার মানুষেরা নিজেদের বিচারে নিজেরাই ঠিক করে নেয়, কারা ভালো আর মন্দ কারা। শুধুমাত্র নিজের, নিজ গোষ্ঠি ও নিজের স্বার্থের মানুষদের ভালো মনে করে, নিজেদের ভালোই মন দিয়ে চায়। যতো দোষ নন্দ ঘোষের মতো অন্যদেরকে খুবই খারাপ ভাবে। ভাবে, তাদের দোষেই দেশ সমাজ মানুষ- সবই যাচ্ছে রসাতলে।
অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে একটা জাতি চোখ থাকিতে অন্ধের মতো। তারা যেটা দেখতে চায় সেটা দেখে, যা দেখতে চায়না- দেখেনা। তারা বোঝেও নিজ নিজ সুবিধামতো। খুশি হওয়া উচিত হবেনা মনে করে খুশি হওয়ার মতো বিষয়েও মুখ ব্যাজার করে থাকে।
স্বার্থপর চিন্তা চরিত্র কারও ভালো ডেকে আনেনা। পিছন ফিরে তাকালে নিজেদের স্বভাবের মন্দ দিকটা স্পষ্ট দেখা যায়। দেশে বিশেষ হয়ে উঠবার একঘেয়ে ফর্মূলা হচ্ছে- আমি ভালো, তুমি খারাপ। দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যারা যারাই শাসনক্ষমতায় এসেছে- টিকিয়ে রেখেছে ঐ...
ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার ধারণা, আমার শুদ্ধতার বোধ এভারেজ থেকে ভালো। ফলে আমি অবাক হলাম যে, যেখানে আমি নিঝুম মজুমদারকে ছোট ভাই সাইয়েদ আব্দুল্লাহর হারপিক দেখানোয় বিনোদিত হয়েছি, আমার বন্ধুদের অনেকেই সাইয়েদ ভাইকে সমালোচনা করেছেন যে এটা অশোভন হয়েছে।
আমি নিজেকে প্রশ্ন করছি, আমার শুদ্ধতার বোধের অধঃপতন হয়েছে, নাকি হাসিনার পলায়নের পর বাংলাদেশের মানুষের শুদ্ধতার উন্মেষ ঘটেছে।
কিন্তু নিজের মধ্যে খুঁজে দেখার পর, যে উত্তর পেয়েছি তা হলো, হারপিক মজুমদার কি পরিমাণ মনস্টার ছিল তা আপনারা জানেন না। ফলে আপনাদের তার প্রতি সিম্প্যাথি আসতে পারে। আমাদের এইটা আসে না।
দুইটি ঘটনা বলবো, একটি আমার ব্যক্তিগত। আরেকটি আমাকে একজন নারী জানিয়েছেন।
২০১৪ বা ১৫ সালে আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সমালোচনা করে একটি নোট লিখি, যেখানে আমি দেখিয়েছিলাম, কেম্বোডিয়ায় খেমার রুজদের বিরুদ্ধে...
আমি মাত্রই দুই দিন হলো কাজ করছি। এর মধ্যে আমার ধারণা আমার মন্ত্রনালয়ে সহকর্মীদের মাঝে এই ধারণা দিতে পেরেছি যে আমরা কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটাতে চাই যেটা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সংস্কৃতি কর্মীদের কাজে আসবে।
যাই হোক, যদিও আমি কোনও পদ চাই নাই, তবুও দায়িত্বটা নেয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে করার চেষ্টা করছি।
কিন্তু এর মধ্যে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে এক অবিশ্বাস্য অভিযোগের- আমি নাকি ফ্যাসিস্টের দোসর! যেই ফ্যাসিস্টকে তাড়ানোর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালাম ১৬ জুলাই থেকে, অল আউট অ্যাটাকে গেলাম এটা জেনে যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু অথবা জেল, আমি তারই সহযোগী?
আমি আমার চেয়ারের জন্য কোনো সাফাই দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। কিন্তু শিল্পী হিসাবে অপমানিত বোধ করেছি বলেই কয়টা কথা...