মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে রুহুল আমিন গাজী ছিলেন বলিষ্ঠ: তারেক রহমান

মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে রুহুল আমিন গাজী ছিলেন বলিষ্ঠ: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এক শোকবার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী'র বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী মরহুম রুহুল আমিন গাজী বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে যেভাবে নিরলস কাজ করেছেন, সেটি তাঁর সতীর্থ সাংবাদিকরা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে অনুসরণ করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। জেল-জুলুম সহ্য করেও মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁর সাহসী উচ্চারণ দেশের মানুষের নিকট প্রশংসিত হয়েছিল।

বারবার রাজরোষে পড়া সত্বেও রুহুল আমিন গাজী সর্বদায় গণতন্ত্রের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দ্বিধা করেননি। কর্মজীবনে অগণতান্ত্রিক শক্তির হুমকির মুখে ও তিনি দায়িত্ব পালনে ছিলেন অবিচল। সাংবাদিকতা জগতে তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যু গণতন্ত্রকামী মানুষের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করল।
তাঁর শুন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি তিনি যেন তাঁকে বেহেস্তবাসী করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শোকবার্তায় রুহুল আমিন গাজীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, দৈনিক সংগ্রাম-এর চিফ রিপোর্টার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

রহুল আমিন গাজী দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি জটিলতা, উচ্চ ডায়াবেটিক, ব্যাক পেইন, লবণ ঘাটতিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার রাত পৌণে তিনটায় রুহুল আমিন গাজীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিতে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গেলে ফ্লাই করার অনুমতি না পেয়ে তাকে এয়ারপোর্ট থেকে আবার ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরের পর তার অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রুহুল আমিন গাজীর প্রতি সাংবাদিকরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে। সেখানে তার নামাজা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে ঢাকায় শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

news24bd.tv/তৌহিদ