নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন কিছু দেখলে আপনারা যাচাই করবেন। এখন ফেসবুকে অনায়াসে পুরোনো কোন ভোগান্তির চিত্র দিয়ে নিউজের আকৃতিতে রিপোর্ট করে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এগুলো যখন আপনারা দেখবেন, সাথে সাথে তা বিশ্বাস করবেন তা। নিজের মতো করে সেই তথ্য যাচাই করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মানুষদের সাথে কথা বলবেন, প্রশাসনের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন এটি আসলেই সত্য কিনা। দেখামাত্রই কোনভাবে বিশ্বাস করা যাবে না। কোথাও কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম, ইউএনও, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীকে জানাবেন।
তিনি বলেন, আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে, আজানের সময় সাউন্ডবক্স বা উচ্চস্বরের বাজনা যাতে বন্ধ থাকে। এ ব্যাপারটি খেয়াল রাখতে হবে। এবছর ৯ থেকে ১০টা মন্ডপ এর জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের টিম থাকবে। সেই সাথে র্যাবের টিম থাকবে, সেনাবাহিনীও এক্টিভ থাকবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমদ, জেলা জামায়াতের আমীর মমিনুল হক, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে একটি সম্প্রাদায়িক গোষ্ঠী সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক বা ইউটিউবের কোনো গুজব ছড়ানো চেষ্টা করবে। সেইসব গুজবে কান দিবেন। যদি কেউ কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে আমাদেরকে তাৎক্ষনিক জানাবেন।
news24bd.tv/JP