৬৬ দেশের ১ হাজার মুসলিম বিনা খরচে ওমরাহ পালন করবেন

ধর্ম-জীবন

বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ এক ধরনের খিয়ানত

আপডেট: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৬

মাইমুনা আক্তার

আমাদের দেশের কিছু মানুষের কাছে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে ব্যবহার করা অপরাধের মধ্যে পড়ে না, বিশেষ করে ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করাকে অনেকে জন্মগত অধিকার মনে করে। গণমাধ্যমের তথ্য মতে, শুধু ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। এ পথে প্রতিদিন ১০৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। একেকটি ট্রেনে গড়ে ৬০০ যাত্রী বিনা টিকিটে ভ্রমণ (আসা-যাওয়া) করে। প্রতিদিন ১০৮টি ট্রেনে অন্তত ৩২ হাজার ৪০০ (যাওয়া-আসা মিলে অন্তত ৬৪ হাজার) যাত্রী বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে। এ রুটে আন্ত নগর ট্রেনের ভাড়া ৫০ টাকা এবং মেইল ট্রেনের ৪৫ টাকা। এসব যাত্রীপ্রতি গড়ে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা ভাড়া আদায় হলে প্রতিদিন ৩১ লাখ টাকা আয় হতো রেলের, যা বছরে দাঁড়ায় ১১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। এ তো শুধু শহরের ভেতরের হিসাব, দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী যাত্রীর সঠিক...

বাকি অংশ পড়ুন

ধর্ম-জীবন

এক অজু দিয়ে একাধিক নামাজ পড়া

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:১৮

আহমাদ রাইদ

অজু থাকলেও প্রত্যেক সালাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন করে অজু করে নিতেন। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম অজু না ভাঙা পর্যন্ত এক অজুতে কয়েক ওয়াক্ত সালাত আদায় করতেন। তবে মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) এক অজুতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছিলেন। সুতরাং অজু থাকলে এক অজুতে একাধিক নামাজ পড়া জায়েজ আছে। তবে নতুন করে অজু করে নেওয়া উত্তম। এ বিষয়ে বর্ণিত কয়েকটি হাদিস হলো: আমর ইবন আমির আনসারি (রহ.) বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রা.)-কে বলতে শুনেছি : নবী (সা.) প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে নতুন করে অজু করতেন। আমি আনাস (রা.)-কে প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করেন? তিনি বলেন, আমাদের অজু নষ্ট না হলে একই অজুতে আমরা সব ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে করে নিই। (তিরমিজি, হাদিস : ৬০) অন্য হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) প্রত্যেক সালাতের সময় অজু করতেন। আমি বললাম : আপনারা কী করতেন? তিনি বললেন, হাদাস (অজু ভঙের কারণ) না হওয়া...

বাকি অংশ পড়ুন

ধর্ম-জীবন

ভুল শোধরানোর ইসলামী পদ্ধতি

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:১২

জাওয়াদ তাহের

মানুষের মধ্যে ভুল করার প্রবণতা আছে। কেউ এমন নেই যে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমার জীবনে কোনোদিন ভুল হয়নি। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কমবেশি সবাই ভুল করে থাকি। শরিয়তের দৃষ্টিতে ভুল একটি স্বাভাবিক বিষয়। এই ভুল শোধরানোর নীতিমালা রয়েছে। অনেক সময় আমরা এই নীতি অবলম্বন না করার কারণে হিতে বিপরীত হয়। নিম্নে আমরা ভুল শোধরানোর কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। ভুল শোধরাতে তিরস্কার নয় : অনেকেই ভুল শোধরাতে তিরস্কারের পথ অবলম্বন করে থাকি। অথচ তিরস্কার বেশির ভাগ সময় ভালো কিছু নিয়ে আসে না। সেজন্য তিরস্কার পরিহার করে সুন্দরভাবে তাকে বুঝিয়ে দেওয়াটাই অধিক শক্তিশালী। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ১০ বছর নবী (সা.)-এর খিদমত করেছি। কিন্তু তিনি কখনো আমার প্রতি উফ শব্দটি করেননি। এ কথা জিজ্ঞেস করেননি, তুমি এ কাজ কেন করলে এবং কেন করলে না? (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৩৮) ভুলটি সুন্দরভাবে...

বাকি অংশ পড়ুন

ধর্ম-জীবন

ইন্দোনেশিয়ার সংবিধানে ইসলাম ও মুসলমান

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০০:৪৬

আহমাদ আরিফুল ইসলাম

ইন্দোনেশিয়া ডাচ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৪৫ সালে। স্বাধীনতার পরের দিন ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ সালে গৃহীত হয় সংবিধানটি, যা ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক ভিত্তির মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। সংবিধানটি ৩৭টি ধারা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৮ সালে স্বৈরাচারী শাসক সুহার্তোর পদত্যাগের পর সংবিধানে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়। উল্লেখযোগ্য সংস্কারগুলো ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে সম্পন্ন হয়। ইন্দোনেশিয়ার সংবিধান ইসলামী আইন বা শরিয়াভিত্তিক আইনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেনি। তবে দেশটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুসলিম ধর্মীয় আইন প্রয়োগের সুযোগ আছে। বিশেষভাবে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে (অপবয) শরিয়া আইন চালু রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নীতি হিসেবে স্বীকৃত। আচেহ প্রদেশের শরিয়া আইন ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় সংবিধানের অধীনেই কার্যকর, যা...

বাকি অংশ পড়ুন

সর্বশেষ