ধর্ম মানবজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ধর্ম মানুষকে ন্যায়পরায়ণ, উদার ও সংযমী হতে শিক্ষা দেয় এবং জীবনের সফলতা ও কল্যাণ অর্জন করে নিজের চারিত্রিক পূর্ণতা লাভে উদ্বুদ্ধ করে। ধর্ম ছাড়া শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব নয়। তাই সম্প্রীতিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মের আশ্রয় নেওয়া অপরিহার্য। মানবজীবনে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা নিম্নে উপস্থাপিত হলো : এক : নৈতিক ভিত্তি নৈতিকতার অর্থ হলো আদর্শ, চরিত্র, রীতিনীতি, শিষ্টাচার, সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের মৌলিক উপকরণ। মানবজীবনের ক্রিয়াকর্ম ও মঙ্গলের অনুশাসনে যেসব নিয়ম জড়িত সেগুলো আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে সুসংহত পদ্ধতির অনুসন্ধান হচ্ছে নৈতিকতা। (A Johnson, Ethics : Selections from classical and contemporary writers (US : Cengage Learning, 2011), p. 1) কেবল ধর্মের মাধ্যমে মানুষের এ কাঙ্ক্ষিত নৈতিকতা অর্জন কর সম্ভব। আদর্শ সমাজ গঠন ও সচ্চরিত্র ন্যায়বাদী মানুষ তৈরি...
ধর্মের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
উম্মে আহমাদ ফারজানা
সন্তানকে কতদিন মাতৃদুগ্ধ দেওয়া যায়
মাইমুনা আক্তার
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো প্রতিটি মায়ের কর্তব্য। কারণ মহান আল্লাহ মায়ের দুধে শিশুর বেড়ে ওঠার সব উপাদান দিয়ে দিয়েছেন। যেমন- আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, রোগপ্রতিরোধকারী উপাদান, পানি, সহজপাচ্যকারী উপাদান ইত্যাদি সবই সুষমভাবে থাকে মাতৃদুগ্ধে। ফলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে বেড়ে ওঠে। পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে। এর ফলে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পায়। শারীরির সুস্থতার পাশাপাশি শিশুর মানসিক বিকাশেও মায়ের দুধের ভূমিকা অনবদ্য। এ ছাড়া মায়ের সুস্থতা যেমন স্তন ক্যানসার, ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে সন্তানকে সঠিক ভাবে মায়ের দুধ পান করানোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি মায়ের উচিত, সন্তান জন্মলাভের পর থেকে নির্দিষ্ট সময়...
দাবানল ও আগ্নেয়গিরি আল্লাহর সতর্কবার্তা
মুফতি মানযুর সিদ্দিক
সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত বিষয় হলো, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘটে যাওয়া বিভীষিকাময় দাবানল। মূলত এই দাবানল বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ আল্লাহর একটি নিদর্শন, যা তিনি তার বান্দাদের সতর্ক করার জন্য পাঠিয়ে থাকেন। আল্লাহ কখনো কখনো নিদর্শন দেন শুধু মাত্র ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তার তাৎপর্য বোঝে না। আকাশ ও পৃথিবীর কত নিদর্শন তাদের সামনে থেকে চলে যায়, অথচ তারা তা উপেক্ষা করে। এসব নিদর্শন বা শাস্তি মানুষদের পাপাচারের দরুন আরো বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : যখন প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে, ফলে তা পর্যবসিত হবে উত্ক্ষপ্তি ধূলিকণায়। (সুরা আল ওয়াকিয়া, আয়াত : ৪-৬) সুরা ওয়াকিয়ার এই নিদর্শন আমাদের এক বিস্ময়কর বর্ণনার দিকে ইঙ্গিত করে, যা কিয়ামতের মহাপ্রলয়ের এক আভাস দেয়।...
মানুষ সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে যাবে যে দুই কারণে
অনলাইন ডেস্ক
ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম। (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭) ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম। (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭) অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর