বয়স বৈষম্য হলো শুধু বয়সের কারণে কারো প্রতি বিরাগ, বিরক্তি, ঘৃণা, বিদ্বেষ কিংবা অসমতা প্রদর্শন করা। আমাদের আচার-আচরণে, চলন-বলনে নির্দিষ্ট একটি বয়সের প্রতি নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা বা মনোভাব পোষণ করা বৈষম্যমূলক। প্রকৃতির মধ্যেই বৈষম্য রয়েছে। বৈষম্য সৃষ্টি করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে বৈষম্য দূর করার লড়াই মানুষকে মানবিক গুণাবলি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৈষম্য বজায় রাখার পক্ষে যেমন জোরালো যুক্তি থাকে, তেমনি বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে আরো বেশি জোরালো যুক্তি থাকে। মানুষ তার সব আচরণের পক্ষে একটি দার্শনিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে। যেমন, যিনি ঘুষ খান তিনি বলেন, সবাই ঘুষ খায়, আমি না খেয়ে কী করব? শুধু বেতনের টাকায় সংসার চলে না। এভাবে দার্শনিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে কৃতকর্মকে ন্যায্যতা প্রদানের চেষ্টা অব্যাহত থাকে। পারিবারিক ক্ষেত্রে উঠতি বয়সের...
বয়স বৈষম্যের অবসান চাই
হাসান আলী
হাসান আলী
কেন বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় অত্যাবশ্যক?
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
তিনটি বিভাগ নিয়ে অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠিত। আর সেগুলো হলো: আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। দুঃখজনক ও আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের জন্য স্ব স্ব সচিবালয় থাকলেও বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় নেই। বিদ্যমান পুরো সচিবালয় তো শাসন বিভাগ তথা নির্বাহী বিভাগের পারপাস সার্ভ করে। অপরদিকে আইন বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় থাকবে বলে খোদ সংবিধান স্পষ্ট করে বলেছে। সংবিধানের ৭৯(১) অনুচ্ছেদ বলেছে, সংসদের নিজস্ব সচিবালয় থাকিবে। কিন্তু বিচার বিভাগের জন্য কোনো স্বতন্ত্র সচিবালয় নেই। অতীতের কোনো সরকারই তা করেনি বা করতে দেয়নি। বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ও আছে। নির্বাহী থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরণ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক ও...
কেউ থাকে যুদ্ধে, কেউ চলে ভিক্ষায়
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
বাংলাদেশের মানুষের জন্য একাত্তরের ৯ মাস ছিল কঠিন দুঃসময়, কিন্তু সেটি ছিল সম্মানের কালও বটে। কেননা বাঙালি তখন যুদ্ধক্ষেত্রে, মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যককে বাদ দিলে তখন ভিক্ষুক ছিল না দেশে, সবাই যোদ্ধা। যুদ্ধের সময়ে এবং তারপর কয়েক মাস সারা বিশ্বে বাঙালি যতটা সম্মান পেয়েছে, অতীতে তেমনটা কখনো পেয়েছে বলে ইতিহাস আমাদের জানায় না। কিন্তু এরপর আমরা যুদ্ধ ছেড়ে নেমে গেছি ভিক্ষায়, সম্মান যা ছিল ক্রমাগত খুইয়েছি। একাত্তরের দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা এখন পথের ভিক্ষুক, তাঁদের লাঞ্ছিত ও গৃহত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এ রকম খবর বাংলাদেশের অনেক এলাকায়ই তৈরি হয়েছে, ছাপা হয়েছে সংবাদপত্রে, কখনো কখনো সচিত্র আকারে। উল্টো সংবাদও পাওয়া গেছে। শুনেছি, সেদিনের বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হয়েছেন। দুটি দুই রকমের খবর, সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী বলে মনে হবে। একটিতে দেখব আমরা পরাজয়ের...
বন্ধুহীন রাজার বংশহীন সিংহাসন!
গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক
রাজনীতি করার জন্য উত্তম বংশপরিচয় দরকার এবং বংশীয় লোকজন যদি রাজনীতিতে সচেতন না হয় এবং বংশের প্রধান ব্যক্তিকে সমর্থন না করে তবে কারও পক্ষেই রাজনীতিতে সফল হওয়া সম্ভব নয়। বংশ বা গোত্র কীভাবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কীভাবে গোত্রীয় রাজনীতি থেকে একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার ভূরি ভূরি উদাহরণ ইতিহাসে রয়েছে। রাজনীতির সর্বকালের সেরা দার্শনিক ইবনে খালদুন এবং তাঁর অমর সৃষ্টি যারা পড়েছেন তারা উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমী, মুর, অটোমান দাস বংশ, লোদি বংশ, পাল বংশ ও মৌর্য বংশ থেকে শুরু করে মুঘল বংশের সফলতা কিংবা ব্যর্থতার কারণগুলো মুখস্থ বলে দিতে পারেন। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু বাংলাদেশের পারিবারিক রাজনীতির ব্যর্থতা। এ ক্ষেত্রে আমরা বিএনপি-আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুরবস্থা নিয়ে ইতিহাসের আলোকে এবং গাণিতিক নিয়ম অনুসরণ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর