আমেরিকায় ডাক্তারি পড়ার সময় লিলিয়ানের সাথে প্রথম পরিচয় হয় তাহেরের, পরে তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। লিলিয়ানা তাদের রক্ষণশীল পরিবারের গণ্ডি পেরিয়ে সবাইকে ছেড়ে তাহেরকে বিয়ে করে। দুজন দুজনকে প্রচণ্ড ভালোবাসে, সহজ সরল এক সুন্দর সময় কাটতে থাকে তাদের। এরমধ্যে লিলিয়ানা তাহেরকে নিয়ে কিছু দুঃস্বপ্ন দেখে। লিলিয়ান হঠাৎ করে ভয় পেয়ে যায়। তার মনে হতে থাকে তাহেরের কোন বড় বিপদ হবে। এরমধ্যে দোতলার সিঁড়ির দরোজায় কড়া নাড়ার শব্দ হয়। ভয় পয়ে সে লুকিয়ে পরে আয়না ঘরের একটি কাবাডের মধ্য। দরজা ভেঙে কয়েকজন লোক ঢুকে পরে ঘরে। এই সময় অন্ধকার কাবাডের মধ্যে কেউ একজন তার চুড়ি পরা হাত রাখে লিলিয়ানের পিঠে, নীরবে সাহস যোগায় তাকে। সেই চুড়িপরা হাত এক সময় তার হাত ধরে লোকগুলির চোখে ধূলি দিয়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। তারপর সেই ছায়ামূর্তির পিছনে পিছনে ছুটতে ছুটতে এক সময় লিলিয়ান পৌঁছে যায় নদীর পারে,...
আয়নাঘর যেভাবে হয়!
মাহাদী পীরজাদা

দুর্ভাগা বাংলাদেশের সর্বত্র বিদেশের উপস্থিতি
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

দারিদ্র্য যদি খুঁজি তা-ও আছে, অসাম্য খুঁজলে তা-ও। আমাদের সংস্কৃতিতে এই দুই উপাদানের কোনো অভাব নেই। এবং দারিদ্র্য ও অসাম্যকে এমনিতে যতটা পরস্পর নিকটবর্তী মনে হয়, আসলে তারা তার চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ। বললে ভুল হবে না মোটেই যে অসাম্যই দারিদ্র্যের মূল কারণ। অসাম্য যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে ধনীতে ও দরিদ্রে, শহরে ও গ্রামে, শিক্ষিতে ও অশিক্ষিতে, সেই বিভেদই দারিদ্র্য সৃষ্টির জন্য দায়ীকি অর্থনীতিতে, কি সংস্কৃতিতে, যেমন মূল কাঠামোতে, তেমনি ওপরকাঠামোতে। অর্থনৈতিক দারিদ্র্যের পক্ষে সাংস্কৃতিক দারিদ্র্যের কারণ হওয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধক নেই। এ কথাও অবশ্যি সত্য, টাকা হাতে এলেই যে সংস্কৃতিতে উৎকর্ষ আসবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই, মধ্যপ্রাচ্যের তেল-ধনী কোনো কোনো দেশ এ বিষয়ে সরলরৈখিক সমীকরণ টানার বিপক্ষে রায় দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যেতে হবে কেন, আমাদের হাতের কাছেই হঠাত্-ধনী...
‘আবার নতুন দল! আর কতোবার মার খেতে চাও তুমি!’
আসিফ নজরুল

২০২৪ এর ভূয়া নির্বাচনের পর খুব মন খারাপ করে থাকতাম। এমন সময় আখতার একদিন আইন বিভাগে এলো। বলে কয়ে আমি তাকে বাড়ী থেকে ঢাকায় আনিয়ে মাষ্টার্স শেষ করতে রাজী করিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরও ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার কোন লক্ষণ নাই তারমধ্যে। আমার গাড়ী থামিয়ে সে সালাম দিলো। তারপর বেশ কিছুক্ষন কাঁচুঁমাচু করে দাড়িয়ে রইলো। আমি বিরক্ত হলাম। আরো বিরক্ত হলাম যখন সে বলল, নুর-রাশেদদের দল ত্যাগ করে নতুন সংগঠন করবে! আমি বললাম: আবার নতুন দল! আর কতোবার মার খেতে চাও তুমি! সে মাথা নীচু করে মৃদু হাসতে থাকে। এই অদ্ভূত হাসির কোন মানে খুজে পেলাম না। বেশী কথা না বলে বাসায় চলে এলাম। কয়েকদিন পর ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে তার রক্তাক্ত ছবি দেখে দু:খ আর হতাশায় বুক বিদীর্ণ হলো। সে কি বুঝতে পারছে না কিছু হবে না আর এসব করে! বুঝতে আমি-ই পারিনি। নতুন সংগঠন করার কয়েকমাসের মাথায় তারা এক অসম্ভবকে সম্ভব...
মারা যাওয়ার আগে মা বা সন্তানের নামই মুখে আসে কেন?
শুভ্র কিশোর বসু

লেখক : শুভ্র কিশোর বসু জাপানে আছি প্রায় বছর সাতেক হয়ে গেল। টোকিও থেকে কোয়েটো যাব বলে, ট্রেনে উঠেছি। নাহ, বুলেট ট্রেনে নয়। সাধারণ ট্রেনে। স্পিড মন্দ নয়। বুলেট ট্রেনগুলোর প্রচুর ভাড়া। হাতে সময় আছে। অতিরিক্ত খরচ না করাই ভালো। জাপানে সাধারণ ট্রেনগুলোতে ভালোই ভিড় হয়। তাও, উইন্ডো সিট পেয়েছি। টোকিওর পরিমিত কোলাহল ছাড়িয়ে ট্রেন ক্রমশ ― সবুজের ছোঁয়া পাচ্ছে। বর্ডার ফিল্মটা― আমার খুব প্রিয়। মোবাইলে দেখছি। প্রায়ই দেখি। দেশ ছেড়ে আসার পর দেশের প্রতি টানটা যেন বড্ড বেড়েছে ! তাছাড়া, কিছু মানুষ নিজেদের পরিবার পরিজনকে পেছনে রেখে দেশের জন্য নিজেদের জীবন দিয়ে দিচ্ছেন ― এমন ভাবনা, আমাকে মোহিত করে। আমার পাশে এক বৃদ্ধ বসে আছেন। মুখে স্মিত হাসি। মাঝে মাঝে বোধহয় আমার মোবাইল স্ক্রিনের দিকে একঝলক তাকাচ্ছেন। চোখে চোখ পড়াতে, একটু ঝুঁকে বললেন ― হ্যালো। আমিও পাল্টা সৌজন্য...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর