মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি। একজন মুসলমানের জীবনের একমাত্র লক্ষ্যও হলো, মহান আল্লাহকে খুশি করা। জাহান্নাম থেকে নাজাত পেয়ে জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হওয়া। তাইতো প্রতিটি সচেতন মুমিন সর্বদা মহান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকার চেষ্টা করে। তাকওয়া অবলম্বন করে। কিভাবে আল্লাহকে পাওয়া যায়, জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়-তা নিয়ে চিন্তা করে। সাহাবায়ে কেরামের মাঝে এই চিন্তা প্রকট ছিল, তাইতো তাঁরা সুযোগ পেলেই নবীজি (সা.)-কে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করতেন। তেমনি একজন সাহাবি হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)। তিনিও একদিন নবীজি (সা.)-কে এমন একটি প্রশ্ন করেন, যার উত্তরে নবীজি (সা.) উম্মাহকে মুক্তির গুরুত্বপূর্ণ পথগুলো একসঙ্গে বাতলে দিয়েছেন। মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, আমি কোনো এক ভ্রমণে নবী (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। একদিন যেতে যেতে আমি...
যেসব আমলে মুক্তি মেলে
মাইমুনা আক্তার
নেতা হিসেবে যেমন ছিলেন সাঈদ জুমাহি (রা.)
নবীজির অন্যতম দুনিয়াবিমুখ সাহাবি সাঈদ ইবনে আমির আল-জুমাহি (রা.)। তাঁর বংশমূলে ষষ্ঠ পুরুষ জুমাহ ইবনে আমর-এর দিকে সম্পর্ক করে তাঁকে জুমাহি বলা হয়। তাঁর চোখের সামনেই কাফেররা নির্মম ভাবে খুবাইব (রা.)-এর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। আর সেটিই তাঁর ইসলামগ্রহণের মাধ্যম হয়। বদর যুদ্ধে মক্কার কাফিরদের বহু নেতা প্রাণ হারায়। তার প্রতিশোধ গ্রহণ করার হীন মানসে তারা খুবাইব (রা.)-কে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। সে হত্যা কার্যকর করেছিল তারা বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে, লোক-সমাবেশের উপস্থিতিতে। খুবাইব (রা.)-কে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে তারা বিশেষ পুলক অনুভব করেছিল। সেদিন দর্শকদের কাতারে ছিলেন এই সাঈদ ইবনে আমির (রা.)-ও। তাঁর বয়স তখন ২৩/২৪ বছর। একজন অসহায় মানুষের উপর পেশীবাদীদের এমন নিষ্ঠুর আচরণে সেদিন কারও পাষাণ হূদয় কেঁপেছে কি না-সেটা তাঁর জানা ছিল না। কিন্তু তাঁর হূদয়জগত কেঁপেছে।...
ঘরে ইবাদতের জায়গা থাকার সুবিধা
জাওয়াদ তাহের
পরিবেশ শিশুদের পরিবর্তনে অসামান্য ভুমিকা রাখে। তাদের প্রথম পাঠ শুরু হয় মায়ের কোল থেকে। তাঁর ঘরের আঙ্গিনা ও চৌহদ্দিতে। যে ঘরে দ্বিনি পরিবেশ আছে সে ঘরের পরবর্তী প্রজন্ম স্বভাবত দ্বিনদার হিসেবেই বেড়ে ওঠে। এজন্য আমাদের ঘরের মধ্যে যদি এমন একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা থাকে, যেখানে গিয়ে আমরা নামাজ আদায় করব। নির্জনে আল্লাহকে ডাকতে পারব, তাহাজ্জুদ ও তিলাওয়াত করব; তাহলে শিশুরাও এটা দেখে দেখে আমাদের থেকে শিখবে এবং এর প্রভাব শিশুদের মনে প্রবলভাবে গেঁথে যাবে। এভাবে নামাজের জায়গা করার জন্য বিশেষ আহামরি কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই। বরং একটু জায়গাকে ভিন্নভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখলেই তা ঘরোয়া মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। প্রিয় নবী (সা.) এ ধরনের মসজিদের নির্মাণের কথা বলেছেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘরে ঘরে, পাড়া-মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করার এবং তা পরিচ্ছন্ন ও...
মজলিস ও বৈঠকে ইসলামী শিষ্টাচার
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্য সভায় বা বৈঠকে বসতে হয়। আবার বিভিন্ন সময়ে দ্বিনি আলোচনা শ্রবণ করা বা পার্থিব বিষয়ে কারো বক্তব্য শুনতে সভা-সেমিনারে উপস্থিত থাকতে হয়। সেখানে কিছু আদব-কায়েদা ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হয়। নিম্নে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো- বৈঠকে কথা বলার ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখা: বৈঠকে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে কথা বলার আদব বা শিষ্টাচার বজায় রাখা জরুরি। যেমন, নিন্দনীয় ও অশ্লীল কথা না বলা। বরং উত্তম কথা বলা। আল্লাহ বলেন, (হে নবী!) তুমি আমার বান্দাদের বলো, তারা যেন (পরস্পরে) উত্তম কথা বলে। কেননা শয়তান সর্বদা তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয়। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১৫৩) আর উত্তম কথা বলায় সওয়াব আছে। রাসুল (সা.) বলেন, ভালো কথাও সদকাস্বরূপ। (বুখারি, হাদিস : ২৯৮৯) বৈঠকের শেষপ্রান্তে যেখানে জায়গা পাবে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর