পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত পূর্ণ মাস। এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের মাস। ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা এই মাসকে ইবাদতের জন্য অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, দিনের বেলা রোজা এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। রমজান মাসে রাতের বেলা তারাবির নামাজ আদায় করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিস শরীফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, من قام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه অর্থাৎ, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ আদায় করবে তার অতীতের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেয়া হবে। আরও পড়ুন দেশে পুরো রমজানে কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানালেন বিশেষজ্ঞরা ০১ মার্চ, ২০২৫ তারাবির নামাজের নিয়ম তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।...
তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও মোনাজাত
অনলাইন ডেস্ক

হাদিসের আলোকে তারাবির নামাজ
অনলাইন ডেস্ক

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো সালাত বা নামাজ এবং আরেকটি হলো সওম বা রোজা। তাই রোজার সঙ্গে নামাজের সম্পর্ক সুগভীর। প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছে, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি; অতএব যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানে দিনে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এমন পবিত্র হবে যেমন নবজাতক মাতৃগর্ভ থেকে (নিষ্পাপ অবস্থায়) ভূমিষ্ঠ হয়। (নাসায়ি শরিফ, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৩৯)। তারাবি শব্দের অর্থ তারাবি শব্দটি বহুবচন, এর একবচন হলো তারবিহাহ; যার আভিধানিক অর্থ হলো বিশ্রাম ও প্রশান্তি। রমজান মাসে এশার নামাজের পর যে সুন্নত নামাজ কায়েম করা হয়, তা হলো তারাবির নামাজ। (কামুসুল ফিকাহ)। তারাবির নামাজের বিধান তারাবির নামাজ ২০ রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদাহ। পুরুষদের জামাতে আদায়...
নতুন চাঁদ দেখলে রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন
অনলাইন ডেস্ক

হিজরি ক্যালেন্ডার চাঁদ দেখে গণনা করা হয়। নতুন চাঁদ উঠলে হিজরি ক্যালেন্ডারের নতুন মাস শুরু হয়। হিজরি বর্ষে মাসের সূচনা ও সমাপ্তিসহ রোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইবাদত চাঁদ দেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই রাসুল (সা.) চাঁদ দেখে কল্যাণের প্রার্থনা করে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো- اَللهُ أَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى، رَبِّىْ وَرَبُّكَ اللهُ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ। অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ওই চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত করো নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ। হাদিস : তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন এই দোয়া পড়তেন।...
ইসলামে সার্বজনীন সংযমের শিক্ষা
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)

ইসলামের সংযমই সবচেয়ে বড় সংযম। ইসলাম সংযমের ধর্ম। ইসলামে সংযমের ধারণা এত বিস্তৃত যে, এই ফরজ রোজার মতো ইসলাম দুই ঈদের সময়ও আত্মসংযমের কথা বলে। যারা ইসলামের এই সংযমের ধারণা অন্তরে লালন করতে পারবে তাদেরকেই আল্লাহ পরকালে জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করবেন। মুমিনের জীবনে সংযমের সূচনা হয় জন্মের পরই এবং শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে। সাধারণত রোজার ব্যাপারে আমাদের যা দেখি তা হলো, যে ব্যক্তি মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয় এবং শৈশবেই ঈমান গ্রহণ করে সে সাবলক হওয়ার পর রোজা শুরু করে। আর যে ব্যক্তি জন্মগত মুসলিম নয়, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে সে রোজা রাখে। রমজানের ফরজ রোজাসহ অন্যান্য রোজা সুবহে সাদিক থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত পালন করতে হয়। আর ইসলামের সর্বব্যাপী সংযম শেষ হয় জীবনসূর্য ডোবার পর। ফরজ ও নফল রোজার ইফতার করা হয় উত্তম পানীয় ও খাবার দ্বারা। মানুষ ইফতারের সময় এত সুস্বাদু ও লোভাল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত