পৃথিবীর কমপক্ষে ৩৫ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে। ভাষাভাষীর বিচারে আরবি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। ইসলামপূর্ব আরব উপদ্বীপই আরবি ভাষার জন্মস্থল। জাহেলি যুগ (যে যুগে ইসলামের আগমন ঘটে) এবং ইসলামী যুগেই আরবি ভাষার চূড়ান্ত বিকাশ সাধিত হয়। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্রের সংযোগে একাধিক আরবি উপভাষার জন্ম হয়। আরবির কোনো কোনো উপভাষার ভেতর পার্থক্য অনারব ভাষার মতোই প্রজ্জ্বল। যেমন কেউ যদি উত্তর আফ্রিকা ও ইরাকের দুজন আরবিভাষীর কথা শোনেন তবে তার কাছে মনে হতে পারে উভয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলছে। তবে আরবি ভাষার একটি প্রমিত রূপ শিক্ষিত আরবদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যাকে ইংরেজিতে মডার্ন স্ট্যান্ডার্ড অ্যারাবিক (এমএসএ) বা ফুসহা বলা হয়। ফুসহা বা প্রমিত আরবি কোরআনে ব্যবহূত ধ্রুপদী আরবি ভাষার নিকটবর্তী। বর্তমানে শিক্ষা,...
আরবির প্রধান পাঁচ উপভাষা
আববার আবদুল্লাহ

মুসলিম বাঙালি নারীর আত্মপরিচয়
আহমাদ আরিফুল ইসলাম

বাংলা মাটি ও বাঙালি সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থলে যে অনবদ্য শক্তির প্রতিচ্ছবি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জ্বলজ্বল করে এসেছে, তা হলো বাঙালি মুসলিম নারী। তিনি শুধু একটি লিঙ্গ পরিচয়ের বাহক নন; তিনি এই জাতির বিশ্বাস, মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন, শালীনতা ও আত্মমর্যাদার এক জাগ্রত প্রতীক। বাংলার প্রতিটি পরতে পরতে তাঁর অবদান ইতিহাসে লেখা, পরিবারে প্রোথিত এবং সমাজে প্রমাণিত। ঐতিহাসিক নির্মাণে বাঙালি মুসলিম নারী ইসলামী ইতিহাসে নারীদের মর্যাদার যে উদাহরণ নবীজীর (সা.) যুগ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগ পর্যন্ত চলে এসেছে, বাঙালি মুসলিম নারী সেই আদর্শ থেকেই নির্মিত হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে মা আয়েশা (রা.), ত্যাগের ক্ষেত্রে খাদিজা (রা.), সাহসিকতার ক্ষেত্রে নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)-এর জীবনী আমাদের পূর্বসূরি মুসলিম নারীদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এই আদর্শ নিয়েই বাংলা সমাজে মুসলিম নারী...
জুমার নামাজের গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা নবীজি (সা.) বলেছেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এদিন আদম (সা.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং সেখান থেকে দুনিয়ায় অবতরণ করানো হয়েছে। জুমার দিনই কিয়ামত সংগঠিত হবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৬২) ইসলামের জুমার দিনের গুরুত্ব অপরীসীম। জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে নবীজি এই দিনকে ঈদের দিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন বলে একটি সূত্রে পাওয়া যায়। জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, জুমার নামাজ। জুমার অর্থ হলো, একত্রিত হওয়া, সংঘবদ্ধ হওয়া। যেহেতু এই দিনে মানুষ আল্লাহর বিধান পালনার্থে একত্রিত হয়, তাই এই দিনকে জুমার দিন বলা হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত...
কোরবানির পশু কেমন হওয়া উচিত?
অনলাইন ডেস্ক

আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহায় মুসলমানরা আল্লাহর নামে পশু কুরবানি করেন।এ উপলক্ষ্যে সামর্থবান ও বিত্তবানদের কোরবানির পশু কেনার পরিকল্পনা করছেন। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য এই পশু কুরবানি ওয়াজিব। তবে কুরবানির জন্য কেমন পশু নির্বাচন করবেন, সে বিষয়ে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, তোমরা কুরবানিতে মুসিন্না ছাড়া জবাই করবে না। তবে সঙ্কটাপন্ন হলে ছয় মাস বয়সি ভেড়া-দুম্বা জবাই করতে পারো। (মুসলিম : ১৯৬৩; আবু দাউদ : ২৭৯৭) আরবি ভাষায় মুসিন্না হলো ৫ বছর বয়সি উট, ২ বছর বয়সি গরু-মহিষ, ১ বছর বয়সি ছাগল-ভেড়া-দুম্বা। (শরহে নববী : ১৯৫৩) সুতরাং উটের ক্ষেত্রে ৫ বছর, গরু-মহিষের ক্ষেত্রে ২ বছর, ভেড়া-দুম্বা ও ছাগলের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ বছর বয়সি হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে ভেড়া-দুম্বা এক বছরের কম হয়েও যদি হৃষ্টপুষ্ট হয় এবং দেখতে ১ বছর বয়সির মতো দেখায় তবে তা দিয়েও...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর