তরুণীদের ‘সুগার বেবি’ হিসেবে ব্যবহার করতেন এই মার্কিন ইউটিউবার

ইনস্টাগ্রামে টরেসের এক মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার ছিল

তরুণীদের ‘সুগার বেবি’ হিসেবে ব্যবহার করতেন এই মার্কিন ইউটিউবার

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাজিলের দুই নিখোঁজ তরুণীকে মরিয়া হয়ে খুঁজছে এফবিআই। ঘটনাটি সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালের। অথচ এই নিখোঁজ দুই তরুণীর পরিবার জানে, তারা কেট তরেসের সাথে আছেন। কেট তরেস যিনি একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং মোটিভেশনাল স্পিকার।

কেট তরেস মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নানাভাবে মানুষকে প্রভাবিত করতেন। এরমধ্যে অল্পবয়সী তরুণীরা ছিলো তার প্রধান টার্গেট।

এনা ছিলেন এমনি একজন তরুণী, যিনি কেট তরেসকে ফলো করতেন। এবং এনার মতে কেট তাকে এতটাই প্রভাবিত করেছিলো যে, তার জন্য নতুন আশার দ্বার খুলে যায়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এনার ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার।

২০১৯ সালে তরেস এনাকে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য ডাকে। এনা তখন বোস্টনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউট্রিশন সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে। ভালো বেতন বেতন পাবে, এই আশায় এনা নিউ ইয়র্ক চলে আসে। কিন্তু এসে দেখে, তরেস সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন বাস্তবে আসলে তেমন নন।

এফবিআই যেসব নিখোঁজ মেয়েকে খুঁজছিল, তাদের মধ্যে একজন ছিলো এনা। লিওনার্ড ডিক্যাপ্রিও কিংবা আরও অনেক বড় বড় ম্যাগাজিনে কাজ করছেন দেখে, এনা তরেসের দ্বারা বেশ প্রভাবিত হয়। কিন্তু তরেসের কাছে এসে এনা বুঝতে পারে, ক্যাট তরেস আসলে তেমনটা নয় যেমনটা সে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে ভেবেছিলো। ফলে কেটের সাথে থাকা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে যায় এবং এনা বুদ্ধি তার একজন পরিচিতের সাথে পালিয়ে আসে।

কেট তরেসের সাবেক প্রতিবেশী, লুজার টোয়ারস্কি বলছিলেন, তরেসের কিছু বন্ধু যারা হলিউডে কাজ করতো মূলত এদের থেকেই তরেস প্রথম মাদকদ্রব্য গ্রহণ করতে থাকে। পরবর্তীতে সে এগুলোতে আসক্ত হয়ে যায়। এবং অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য সে সুগার বেবি (স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক যৌনকাজে জড়ানো ব্যক্তি) হিসেবে কাজ করতে থাকে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবিত করে যাডেকে নিজের কাছে নিয়ে আসতো, তাদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক এই কাজ করাতো।

মূলত কেট যেসব নারীদের প্রভাবিত করেছিলো তাদের দিয়েই জোরপূর্বক যৌনতার কাজ করাতো। এনার মত আরও তিনজন তরুণী ক্যাটের এমন প্রতারণার শিকার হয়। যাদেরকে এফবিআই উদ্ধার করে ব্রাজিলে ফিরিয়ে দেয়।  
পরবর্তীতে ক্যাট তরেসকে গ্রেপ্তার করে ব্রাজিলের একটি কারাগারে রাখা হয়। এবং তার একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে কেট তরেসকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো সে অপরাধী কি না। সে হাসিমুখে বলে, এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সে কখনোই কাউকে জোর করে যৌনকাজে ব্যবহার করেনি।

কিন্তু বিবিসি আইয়ের অনুসন্ধানে জানা যায়, কেট তরেস একজন নেশাগ্রস্ত নারী। যিনি বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল ড্রাগস ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করতেন। এনা, এমান্ডার মত তরুণীরা এমনই প্রতারণার শিকার। বর্তমানে কেট তরেস মানব পাচার এবং যৌনতার মামলায় ৮ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

news24bd.tv/JP/FA

এই রকম আরও টপিক