রোমানদের পক্ষ থেকে ইসলামী খিলাফতের প্রতি যে হুমকি ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা নির্মূল করতে ১৩ হিজরিতে আবু বকর সিদ্দিক (রা.) একটি বিশেষ মুসলিম বাহিনী পাঠান। এই বাহিনীকে তিনি চার ভাগে বিভক্ত করেন। প্রত্যেক ভাগের জন্য তিনি স্বতন্ত্র অধিনায়ক নিযুক্ত করেন এবং প্রত্যেক বাহিনীর জন্য পৃথক লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। তিনি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা.)-কে হিমসের দিকে, আমর ইবনুল আস (রা.)-কে ফিলিস্তিনের দিকে, ইয়াজিব ইবনে আবি সুফিয়ান (রা.)-কে দামেস্কের দিকে এবং শুরাহবিল ইবনে হাসানা (রা.)-কে জর্দানের দিকে পাঠান। অমূল্য উপদেশ আবু বকর সিদ্দিক (রা.) শাম অভিযানে পাঠানো বাহিনীকে বিদায় জানাতে কিছুদূর পর্যন্ত হেঁটে এগিয়ে যান। বিদায়ের সময় তিনি সমবেত সেনা ও সেনাপতিদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দান করেন। বিশেষত সেনাপতিদের তিনি অমূল্য নির্দেশনা দান করেন। তিনি বলেন ১. সর্বাবস্থায়...
শাম অঞ্চলে পাঠানো বাহিনীর প্রতি আবু বকর (রা.)-এর উপদেশ
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
মৃত্যুকে স্মরণ করার উপকারিতা
শরিফ আহমাদ
মৃত্যু অবধারিত। দুদিন আগে অথবা পরে সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫) মৃত্যুর স্মরণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর আনুগত্য এবং পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই সর্বদা মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। বারাআ (রা.) বলেন, একদা আমরা একটি জানাজায় রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক ছিলাম। তিনি একটি কবরের পাশে বসলেন, পরে কাঁদতে শুরু করলেন। এমনকি তার চোখের পানিতে মাটি ভিজে গেল। অতঃপর তিনি বলেন, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা। (তোমাদের অবস্থা) এর মতোই হবে, সুতরাং তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯৫) পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল আছে, কিন্তু যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই। দুনিয়ার ব্যস্ততার ভিড়ে যারা আগেভাগে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে...
কবর জিয়ারতকালে যে দোয়া পড়তেন রাসুল (সা.)
অনলাইন ডেস্ক
মৃত্যুর পর মানুষের আবাসস্থল কবর। মুমিনদের সেখানকার অধিবাসীর জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) নিয়মিত কবর জিয়ারত করতেন এবং দোয়া করতেন। হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া হলো- السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، أنتُم لنا فرَطٌ ونحنُ لَكم تبعٌ، أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ. উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম আহলাদ দিয়ার। মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমিন। ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন। আনতুম লানা ফারাতুন ওয়া নাহনু লাকুম তাবউন। আসআলুল্লাহ লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াহ। অর্থ : হে গৃহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমরা, তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। তোমরা আমাদের অগ্রগামী এবং আমরা তোমাদের অনুসরণকারী। আমি আল্লাহর কাছে আমাদের ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। হাদিস :...
মুসলমানদের শাম অঞ্চল বিজয়ের ইতিহাস
আলেমা হাবিবা আক্তার
রাসুলুল্লাহ (সা.) তার জীবদ্দশায় আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের গোত্রগুলোর এবং শামের বিরুদ্ধে বিজয় লাভের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কিন্তু তার জীবদ্দশায় এর খুব সামান্যই বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে মুসলিম বাহিনী দক্ষিণ জর্দানের মুতা শহরে একটি অভিযান পরিচালনা করে। প্রকৃত পক্ষে শামে মুসলিম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর যুগে এবং তা পূর্ণতা লাভ করে খলিফা ওমর (রা.)-এর শাসনামলে। মুসলিম বিজয়ের তিন পর্যায় শামে মুসলমানদের বিজয় অর্জিত হয়েছিল তিনটি পর্যায়ে। তাহলো ১. প্রথম পর্যায় (১২-১৩ হি.): এই সময়ে শামের প্রত্যন্ত ও গ্রামাঞ্চলগুলো মুসলিমরা বিজয় করে এবং এই অঞ্চলের আরব গোত্রগুলো বশ্যতা স্বীকার করে। ২. দ্বিতীয় পর্যায় (১৩-১৫ হি.): এই পর্যায়ে এসে প্রকৃত সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়। এই সময়ে দক্ষিণ ও মধ্য শামের প্রধান প্রধান শহর মুসলমানরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর