গত বছরের অক্টোবর মাসে হামাসের তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, আরব দেশগুলো এবং পশ্চিমাদের নীরবতা ইসরায়েলকে গণহত্যায় উসকানি দিচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের বর্বরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপর জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়ে হত্যা ও বাস্তুচ্যুতির মধ্য দিয়ে ইসরায়েল গাজাকে ফিলিস্তিনি শূন্য করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে। এর নেপথ্য কারণ এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিন দিন। ইসরায়েলের এই বর্বরতার পেছনে সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক এখন গর্ত থেকে বের হয়ে এসেছে। যারা এত দিন ধরে দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের কথা বলে এসেছে, তারাই এখন গাজাকে ফিলিস্তিনি শূন্য করে সেখানে রিভেরা (বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র) নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। গাজাবাসী কোথায় গিয়ে থাকবে তারও একটি সমাধান দিয়ে রেখেছে, আর সেটি হচ্ছে মিসর ও জর্দান, অর্থাৎ সমগ্র...
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
ড. ফরিদুল আলম

চেনা যায় সহজেই
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ভাষা দিয়ে চেনা যায়, চেনা যায় ক্ষমতা দিয়েও। ভাষা বরং অধিক, ক্ষমতার চেয়ে। মুখ খুললেই বক্তার পরিচয় হেসে-খেলে কিংবা রেগে-মেগে বের হয়ে আসে। ভাষা পারে চুম্বকের মতো কাছে টেনে নিতে এবং যন্ত্রের মতো ঠেলে দিতে দূরে। কাছে টেনে নেওয়াটা বিশেষভাবে ঘটে প্রবাসে। প্রবাসে বাঙালি মাত্রই বাঙালির মিত্র, শত্রুতে পরিণত হওয়ার আগে। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে, আমারও আছে বলে দাবি করতে পারি। আজ থেকে পঁয়ষট্টি বছর আগে আমি বিদেশে গিয়েছিলাম পড়তে। তখন আমরা পাকিস্তানি। সেই পরিচয়েই গিয়েছি ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে। উর্দুভাষী যে পাকিস্তানিরা সহযাত্রী ছিল আমার, তাদের কারও কারও সঙ্গে যে বন্ধুত্ব হয়নি তা নয়, হয়েছে। কিন্তু বিদেশে পা দিয়ে বাঙালিমাত্রকেই বন্ধু মনে হয়েছে, সে বাঙালি যে রাষ্ট্রেরই নাগরিক হোক। ভারত-পাকিস্তান তখন শত্রুর সম্পর্ক, কিন্তু সেই শত্রুতা ভারতীয়...
ইসরায়েল হামলা চালালে যেভাবে জিতে যায় হামাস
ডেভিড হার্স্ট

গাজার বর্তমান অবস্থা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। একে কেউ কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খোলা বন্দিশিবির বলছেন, কেউ বলছেন হত্যাক্ষেত্র। অথচ এর এক ঘণ্টার দূরত্বে তেল আবিব। তেল আবিবের অনেক বাসিন্দা নিশ্চিন্তে আরামে জীবন কাটাচ্ছেন, যেন কিছুই ঘটছে না। ইসরায়েল ভয়াবহ মাত্রায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মনে হচ্ছে এ যুদ্ধে আপাতভাবে জয়ী ও শক্তিশালী ইসরায়েলই। কিন্তু সত্যি তাই? হামাস এখনও আত্মসমর্পণ করেনি। হামাস আত্মসমর্পণ করবেও না। যদি করত তবে ফিলিস্তিনীরা হেরে যেত। মানে প্রমাণ হতো তারা ভয় পেয়েছে। ফলে ইসরায়েলের হামলায় জিতেছে ফিলিস্তিনিরাই। যদি কেউ কেউ ভাবছেন, হামাসের নেতারা অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাবেন। যেমন একসময় ফাতাহ করেছিল। তাদের এ ভাবনা প্রমাণ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তাঁর প্রতিপক্ষকে কতটা ভুলভাবে বুঝেছেন। ১৮ মাসের যুদ্ধে, দুই মাসের অবরোধে...
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও সংখ্যালঘু সংহতি: বিভাজন নয় সহাবস্থানেই হবে আমাদের শক্তি
বি জে (অব) ড. একেএম শামছুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই একটি বৈচিত্র্যময় সমাজব্যবস্থার বাস্তবতা আমরা প্রত্যক্ষ করে আসছি। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে সংখ্যালঘুদের অবদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তাদের চারপাশে তৈরি করা নানা ভ্রান্ত ধারণা ও রাজনৈতিক অপপ্রচারণাও একটি বাস্তবতা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা ও জাতীয় চেতনার ভেতর এই সংখ্যালঘু ইস্যুটি কোনো স্বাভাবিক সামাজিক বাস্তবতার ফসল নয়, বরং একটি কৃত্রিম সংকটরূপে গোষ্ঠীগত স্বার্থে চর্চিত হয়েছে। বিশেষ করে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক দল বারবার এই ইস্যুকে ব্যবহার করেছে বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে। বাংলাদেশের ইতিহাস বুঝতে হলে প্রথমে পাকিস্তানি রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তিকে বুঝতে হবে। পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতেএকটি ধর্মনির্ভর রাষ্ট্রব্যবস্থা যেখানে মুসলমান ও হিন্দু আলাদা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর