অনলাইনের সঠিক ব্যবহার জীবনকে সহজ, তথ্যবহুল ও উপকারি করে তুলছে। এর অপব্যবহার আবার ব্যক্তি ও সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বর্তমানে অনলাইনের অপব্যবহার লক্ষণীয় হারে বাড়ছে। নিত্যনতুন পাপের পথ আবিষ্কার হচ্ছে। হুমড়ি খেয়ে পাপের পথে ছুটে চলছে অধিকাংশ মানুষবিশেষ করে যুব সম্প্রদায়। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অনলাইন ব্যবহার করা উচিত। সময় ও অর্থ অপচয় অনলাইনে সবচেয়ে বেশি হয় সময়ের অপচয়। সময়ের অপচয় মানেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। আমল থেকে বঞ্চিত হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন, সময়ের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে। (সুরা আসর, আয়াত : ১-২) অনলাইনে অনেক টাকা অনর্থক কাজে ব্যয় হয়। ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে হুলস্থুল কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়। বিচার দিবসে এসব অনর্থক ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচটি বিষয়ে...
অনলাইনে পাপের উপাদান থেকে সতর্কতা প্রয়োজন
শরিফ আহমাদ

যাদের রোজা মানে শুধুই না খেয়ে থাকা
সাইফুল ইসলাম

আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনে রোজা একটি অপরিহার্য ইবাদত। ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন এবং তাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণের নিমিত্তে রোজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করে দেয়া হয়েছে, যেমনি করে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা (রোজার মাধ্যমে) মুত্তাকি হতে পারো (আল্লাহকে ভয় করতে পারো)। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) আলোচ্য আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলা গোটা ঈমানদারদের সতর্ক করেছেন, যেন তারা তাদের জাগতিক কাজ-কর্মে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহকে ভয় করে। অর্থাৎ তাদের সব কাজ-কর্ম যেন ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক হয়, কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক হয় তথা আল্লাহর নির্দেশ এবং আল্লাহর রাসুলের আদর্শ অনুযায়ী হয়। মহান আল্লাহর কাছে রোজাদারের মর্যাদা সীমাহীন।...
ইতিহাসের আয়নায় ১৭ রমজান
আসআদ শাহীন

রমজান পবিত্র, রহমতপূর্ণ ও ফজিলতসমৃদ্ধ মাস। এই মাস শুধুমাত্র রোজা ও ইবাদতের জন্যই নয়, বরং ইসলামের ইতিহাসে এটি একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। বিশেষ করে ১৭ রমজান, একটি স্মরণীয় দিন, যা ইসলামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। এই দিনে সংঘটিত হয়েছে এমন কিছু ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হলো- ১. উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর ইন্তেকাল ইসলামি ইতিহাসের সূর্যালোকে এক অনন্য উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সর্বাধিক প্রিয় স্ত্রী এবং প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর কন্যা। তাঁর নাম আয়েশা, উপাধি সিদ্দিকা ও হুমায়রা এবং তাঁর সম্মানজনক উপাধি উম্মুল মুমিনিন (মুমিনদের জননী)। আয়েশা (রা.) ছিলেন মেধা, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রখ্যাত সাহাবি আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন : আমরা, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা, যখনই কোনো জটিল...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব-১৭
সুরা হজ

এই সুরায় বিশেষভাবে হজের বিধি-বিধান, ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক হজের ঘোষণার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এরপর জান্নাত ও জাহান্নামবাসীদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। মুনাফিকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে মসজিদুল হারামের মর্যাদা বর্ণনা এসেছে। এর ভেতরে যুদ্ধ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ সুরায় যুদ্ধের বিধান দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং মুসলিম শাসকের করণীয় বর্ণনা করা হয়েছে। ঈমানদারদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক উম্মতের চলার ভিন্ন ভিন্ন পথের কথা বলা হয়েছে। সুরার শেষের দিকে বলা হয়েছে যে, মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আগের সব উম্মতের ওপর সাক্ষী হবেন। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. কিয়ামত দিনের সর্বশেষ নিদর্শন হবে মারাত্মক ভূমিকম্প। যা জগতবাসীকে মারাত্মকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করবে। (আয়াত : ১) ২. হাত গণনা, ভবিষ্যদ্বাণী করা বা তাবিজ-কবজের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর