পবিত্র রমজানে হাজার মাস থেকে উত্তম এক রাত রয়েছে। যে রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। এ রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ হলে আল্লাহ তাআলা অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে, সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি)। এ রাতটি রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে খুঁজতে বলা হয়েছে হাদিসে। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (বুখারি ২০১৭, মুসলিম ১১৬৯)। এ রাতে বিশেষ কিছু আমল করা জরুরি। এশা ও ফজর নামাজ জামাতে আদায় করা কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য অনেকে রাতভর নফল নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকে যে ভুলটি করেন তাহলো জামাতে নামাজ আদায়কে গুরুত্ব দেন না।...
লাইলাতুল কদরে যে ৫ আমল অবশ্যই করবেন
অনলাইন ডেস্ক

নবীজির প্রিয় সাহাবি আকিল ইবনে আবু তালিব (রা.)
মাইমুনা আক্তার

আকিল ইবনে আবু তালিব (রা.) ছিলেন রাসুল (সা.) এর চাচাতো ভাই। তিনি নবীজির চাচা আবু তালিবের সন্তান। হজরত আলী (রা.) এর ভাই। বয়সে হজরত আলী থেকে ২০ বছর বড়। তিনি তাঁর পিতার দ্বিতীয় ছেলে। প্রথম ছেলে তালিব। তিনি তালিব থেকে ১০ বছর ছোট। বিয়ে করেন শাইবা ইবনে রাবিআর মেয়ে ফাতিমাকে। (উসদুল গাবা : ৬/২২৭; ফাতহুল বারী ১/২৮৬) ইসলামগ্রহণ ও হিজরত প্রথম থেকেই আকিলের মনোভাব ইসলাম ও মুসলমানের প্রতি দুর্বল ছিল। কিন্তু মক্কার কাফিরদের ভয়ে ইসলামের ছায়াতলে আসতে পারেননি। মনের বিরুদ্ধে নেতাদের সঙ্গে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধে মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়ে যান। আকিল ছিলেন হতদরিদ্র। মুক্তিপণ পরিশোধের মতো অর্থকড়ি তাঁর কাছে ছিল না। চাচা আব্বাস (রা.) তাঁর মুক্তিপণ দিয়ে তাঁকে মুক্ত করেন। (আল-ইসতিআব ৩/১০৭৮; সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩/১৪০) বন্দীদশা থেকে মুক্তি লাভ করে ফিরে যান স্বদেশ―মক্কায়।...
ইসলামে জাকাতের গুরুত্ব
আহমাদ ইজাজ

জাকাত ইসলামের অন্যতম রুকন বা স্তম্ভ। ইসলাম মানবসমাজে অর্থনৈতিক সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে বিত্তশালীদের ওপর নির্দিষ্ট হারে জাকাত ফরজ করেছে। আর জাকাতকে বলা হয়েছে গরিবের অধিকার। এটা কোনোক্রমেই গরিবের প্রতি ধনীর দয়া বা অনুগ্রহ নয়। ইরশাদ হয়েছে, তাদের (ধনীদের) সম্পদে অধিকারবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার আছে। (সুরা : আল-মাআরিজ, আয়াত : ২৪) ইসলামী বিশ্বকোষের তথ্যমতে, আল-কোরআনে প্রত্যক্ষভাবে জাকাতের কথা এসেছে ৩২ বার। এর মধ্যে নামাজ ও জাকাতের কথা একত্রে এসেছে ২৮ বার। দ্বিতীয় হিজরিতে রোজা ফরজ হওয়ার পরপরই শাওয়াল মাসে জাকাত ফরজ হয় এবং নবম হিজরিতে এটি পূর্ণাঙ্গরূপে কার্যকর করা হয়। জাকাতব্যবস্থা অতীতের সব নবীর উম্মতের ওপর অপরিহার্য পালনীয় ছিল। তবে সম্পদের পরিমাণ ও ব্যয়ের খাত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছিল। যেমন ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর বংশের...
ইবাদতের স্বাদ ও প্রকৃত সুখ
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

ইবাদতের প্রকৃত স্বাদ তখনই লাভ করা যায় যখন তার উপযুক্ত কারণগুলো পাওয়া যায়। একজন মুসলমানের কর্তব্য হলো, এই কারণগুলো অর্জনের চেষ্টা করা, যাতে সে সুখময় জীবন উপভোগ করতে পারে। নামাজ : নামাজের মাধ্যমে মুমিনের হূদয়ে প্রশান্তি আসে। হাদিস শরীফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিলাল (রা.)-কে বলতেন, হে বেলাল, আজান দাও, আমরা নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করব। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৮৬) এর দ্বারা বোঝা যায়, মহান আল্লাহ নামাজে প্রশান্তি রেখেছেন। যে ব্যক্তি তা পরিপূর্ণ হক আদায় করে পালন করতে পারবে, সে ইবাদতের স্বাদ পাবে। ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, নামাজ সেই ব্যক্তির পাপ মোচন করে, যে তার হক আদায় করে পূর্ণ খুশু-খুজু নিয়ে পড়ে এবং আল্লাহর সামনে দাঁড়ায় হূদয় ও দেহের উপস্থিতিসহ। যখন সে নামাজ শেষ করে, তখন নিজেকে হালকা অনুভব করে, যেন তার সব বোঝা নামাজের মাধ্যমে দূর হয়ে গেছে। এতে সে প্রশান্তি,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর