পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ঘটনাবলীর অন্যতম লোকমান হাকিম (রহ.)-এর ঘটনা বিশেষ তাত্পর্য বহন করে। কেননা এতে একজন পিতার ভাষ্যে পুত্রকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। পিতা কর্তৃক পুত্রকে উপদেশ দেওয়া একটি চিরায়ত বিষয়। সৃষ্টির সূচনা থেকেই পিতারা শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে পুত্রদেরকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করেন। কোরআনে বর্ণিত পিতা-পুত্রের এই কথোপকথনে ধর্মীয় ও পার্থিব শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। যা আদর্শ জীবন গঠনে অপরিহার্য। লোকমান (রহ.) ও তাঁর প্রজ্ঞা বিশুদ্ধ মতানুসারে লোকমান (রহ.) আল্লাহর নবী ছিলেন না, বরং একজন প্রজ্ঞাবান নেককার মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে পাণ্ডিত্য দান করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আমি লোকমানকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা। (সুরা লোকমান, আয়াত : ১২) মুজাহিদ (রহ.) বলেন, প্রজ্ঞা হলো সত্য চেনা ও সে অনুসারে আমল করা, কথা ও কাজে সঠিক হওয়া। আর আল্লামা ইবনুল...
কোরআনের বর্ণনায় ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বয়
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

রাসুল (সা.)-এর অবমাননার শাস্তি
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ

মহানবী (সা.)-কে ভালোবাসা ঈমানের অন্যতম অপরিহার্য বিষয়। এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওই আল্লাহর শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট স্বীয় পিতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হই। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৫) এছাড়াও একজন মানুষকে ভালোবাসার যত কারণ থাকে, যেমনদয়া, অনুগ্রহ, যোগ্যতা, সৌন্দর্য, অনুপম চরিত্র, ন্যায়নীতি-ইনসাফ, মায়া, মুহাব্বত, ভালোবাসা প্রভৃতি, সবকিছু মহানবী (সা.)-এর মধ্যে সবার চেয়ে বেশি ছিল। তাই ঈমানদার মাত্রই তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসে। কেউ রাসুল (সা.)-কে গালমন্দ করলে, এই ভালোবাসার দাবিতেই মুমিনদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে নবীর অবমাননাকারীকে আরবিতে শাতিমে রাসুল বলা হয়। এমন ব্যক্তির বিধান নিম্নরূপ : কোরআনের দৃষ্টিতে নবীজির অবমাননাকারী আল্লাহ তাআলা বলেন, তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা করো,...
হানাফি মাজহাবের বৈশিষ্ট্য
আহমাদ ইজাজ

ফিকহশাস্ত্রের ইমামদের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) শ্রেষ্ঠ আসন দখল করে নিয়েছেন। সবাই তাঁকে একবাক্যে আল ইমামুল আজম তথা ইমামকুলের শিরোমণিরূপে আখ্যায়িত করেন। তৎকালীন মুসলিমবিশ্বে যখন এক দিকে সিন্ধু থেকে সেপন এবং অপর দিকে আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে, আর অন্যদিকে ইসলামী সংস্কৃতি পৃথিবীর দিক-দিগন্ত বিকশিত হতে থাকে তখনই ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ইসলামী আইন শাস্ত্রকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলেন। সুদীর্ঘ ২২ বছর সাধনা করে ১৪২ হিজরিতে তিনি ফিকাহ সমপাদনার কাজ সমাপ্ত করেন। তাঁর দেওয়া ফিকহি সিদ্ধান্তগুলো কুতুবে হানাফিয়ায় স্থান পেয়েছে। এতে মোট ৮৩,০০০ মাসয়ালা স্থান পেয়েছে। পরবর্তীতে এতে আরো বহু বিধান সংযোজন করা হয়েছে। নিম্নে হানাফি মাজহাবের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো আইন ও রাজনীতির সমন্বয় সাধন: হানাফি ফিকাহ মুসলিম আইন ও রাজনীতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।...
কোরআনে সর্বাধিকবার ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দ
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র কোরআনে বহু শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সর্বাধিকবার এসেছে এমন ২০টি শব্দের বিবরণ দেওয়া হলো। ১. মিন: অর্থ থেকে। শব্দটি ২৩৬৬ বার ব্যবহৃত হয়েছে। ২. আল্লাহ: মহান স্রষ্টার সত্তাগত নাম। এসেছে ২১৫৩ বার। ৩. ফি: অর্থ ভেতর বা মধ্যে। ব্যবহৃত হয়েছে ১১৮৬ বার। ৪. মা: অর্থ যা (ইতিবাচক), না (নেতিবাচক)। ব্যবহৃত হয়েছে ১০১৩ বার। ৫. আল্লাজিনা: অর্থ যারা। ব্যবহৃত হয়েছে ৮১০ বার। ৬. আলা: অর্থ ওপর। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৭০ বার। ৭. লা: অর্থ না। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৬৮ বার। ৮. ইল্লা: ব্যতিত বা ছাড়া। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৬২ বার। ৯. ওয়া-লা: অর্থ এবং না। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৫৮ বার। ১০. ওয়া-মা: অর্থ এবং না (নেতিবাচক) বা এবং যা (ইতিবাচক)। ব্যবহৃত হয়েছে ৬৪৬ বার। ১১. ইন্না: অর্থ নিশ্চয়ই। ব্যবহৃত হয়েছে ৬০৯ বার। ১২. আন্না: অর্থ নিশ্চয়ই। ব্যবহৃত হয়েছে ৫৩৯ বার। ১৩. ক্বলা: অর্থ সে বলেছে বা তিনি বলেছেন। ব্যবহৃত...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর