রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, এ মাসে একজন মুমিন তার হূদয়কে তাকওয়ার আলোয় আলোকিত করে। এটি শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মসংযম ও আল্লাহভীতি অর্জনের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণের সময়। তাকওয়া শব্দটি কুরআনে বহুবার এসেছে এবং এটি মূলত আল্লাহভীতির মাধ্যমে নিজেকে গুনাহ থেকে রক্ষা করার নাম। রমজান মাসে সঠিকভাবে রোজা পালন করলে মুমিনের হূদয়ে তাকওয়ার জন্ম হয়, যা তাকে পরবর্তী জীবনে গুনাহ থেকে দূরে রাখে এবং পরকালীন মুক্তির পথ দেখায়। তাকওয়ার সংজ্ঞা তাকওয়া শব্দটি আরবি ওয়াক্বায়া মূল ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ রক্ষা করা বা সুরক্ষা প্রদান করা। ইসলামি পরিভাষায় তাকওয়া হলো আল্লাহকে ভয় করে তাঁর বিধান মেনে চলা এবং হারাম কাজ থেকে দূরে থাকা। তাফসিরে বায়জাবিতে তাকওয়ার তিন স্তরের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এক. শিরক থেকে বেঁচে থেকে চিরস্থায়ী শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়া। এ...
রমজানে আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়ন
জাওয়াদ তা

রোজা না রাখার ভয়াবহতা
মাইমুনা আক্তার

রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পবিত্র রমজান মাসের রোজা ফরজ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, রমজান মাস- যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য (আদ্যোপান্ত) হেদায়েত এবং এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত, যা সঠিক পথ দেখায় এবং (সত্য ও মিথ্যার মধ্যে) চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন এ সময় অবশ্যই রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য দিনে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের পক্ষে যা সহজ সেটাই চান, তোমাদের জন্য জটিলতা চান না, এবং (তিনি চান) যাতে তোমরা রোজার সংখ্যা পূরণ করে নাও এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যে পথ দেখিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর তাকবির পাঠ কর এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য পূর্ণ রমজান...
কাশ্মীরে রোজা ও রমজান
আলেমা হাবিবা আক্তার

রমজান মুমিনের মনে বয়ে আনে আনন্দের ধারা। তাই সারা বিশ্বের মুসলিমরা আধ্যাত্মিকতা ও আনন্দের আমেজে রমজান উদযাপন করে। ইসলামের চিরায়ত রীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে স্থানীয় রীতি-সংস্কৃতির মিশেলে উদযাপিত হয় মাহে রমজান। তাই প্রত্যেক অঞ্চলের রজমান সংস্কৃতির ভেতর দেখা যায় কিছুটা ভিন্নতা। নিম্নে ভূস্বর্গ কাশ্মীরের রমজান সংস্কৃতি তুলে ধরা হলো। ১. সাহরিতে জাগিয়ে দেওয়া : রমজান মাসে শেষ রাতে মানুষ জাগিয়ে দেওয়া হয়। এটা কাশ্মীরের শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য। লোকদের জাগিয়ে দিতে ঢোল বাজানো হয় এবং ওয়াক্তে সাহুর বা সাহরির সময় বলে আওয়াজ দেওয়া হয়। যারা সাহরির জন্য জাগিয়ে দেয় তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় সেহরি বলা হয়। স্থানীয় লোকেরা তাদের আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে ওঠে। ২. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ : কাশ্মীরের মুসলিমদের খাদ্যাভ্যাস ভারতবর্ষের অন্য অঞ্চলের মানুষ থেকে ভিন্ন। তারা সাধারণত...
রোজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তিদের করণীয়
অনলাইন ডেস্ক

রমজান মাসে যারা রোজা পালনে অক্ষম। অতিশয় পীড়িত, বয়োবৃদ্ধ, এমনকি দৈহিক দুর্বলতার কারণে রোজা রাখা অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার বা প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাদের রোজার ব্যাপারে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ﴾وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ﴿ অর্থ : আর যাদের জন্য সিয়াম কষ্টসাধ্য তাদের কর্তব্য হলো ফিদয়া, এর বদলে একজন মিসকিনকে খাদ্য দেওয়া। কেউ স্বেচ্ছায় ভালো কাজ করলে তা তার জন্য কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য বেশি কল্যাণকর, যদি তোমরা তা জানতে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪) news24bd.tv/TR
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর